Advertisment

খেজুরি বিস্ফোরণ কাণ্ড: ওড়িশা থেকে NIA-র জালে তৃণমূল কর্মী, ফোনের সূত্র ধরে মিলল খোঁজ

জনকা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সমরশঙ্কর মণ্ডলের নির্দেশেই বোমা বাঁধছিল রতন-সহ আরও তিনজন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
man arrested for repeatedly raping 7 year-old daughter in Pimpri-Chinchwad pune

প্রতিকী ছবি।

খেজুরি বিস্ফোরণ কাণ্ডে ভিন রাজ্য থেকে একজনকে গ্রেফতার কর এনআইএ। ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে রতন প্রামাণিক নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তে উঠে আসে রতনের নাম। রতন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত।

Advertisment

তদন্তে উঠে আসে, জনকা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সমরশঙ্কর মণ্ডলের নির্দেশেই বোমা বাঁধছিল রতন-সহ আরও তিনজন। পঞ্চায়েত প্রধান-সহ তিনজনকে আগেই গ্রেফতার করেছে এনআইএ। সমরশঙ্কর ছাড়াও ধৃতদের নাম হল সইদুল আলি খান, শেখ আরিফ বিল্লা। এবার ভুবনেশ্বর থেকে গ্রেফতার করা হল তৃণমূল কর্মী রতন প্রামাণিককে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর ৩ জানুয়ারি খেজুরির কঙ্কন করণ নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িত বিস্ফোরণ হয়। তাতে অনুপ দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী নিহত হন। তদন্তে উঠে আসে, কঙ্কনের বাড়িতে কয়েকজন বোমা বাঁধার কাজ করছিল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে বোমা বাঁধার অভিযোগ তোলেন।

আরও পড়ুন বঙ্গে ‘ছিন্নভিন্ন’ বিজেপি, শাহী ভোকাল টনিকেই কী সতেজ হবে পদ্ম?

খেজুরির বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে লিখিত আবেদন করেন। এনআইএ সূত্রের দাবি, ধৃতদের জেরা করে রতনের নাম জানা যায়। সেদিন রতন কঙ্কন করণের বাড়িতে বসে বোমা বাঁধছিল। বিস্ফোরণের পর রতন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে ফোনে ফোনে যোগাযোগ রাখছিল সে। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তার খোঁজ মেলে।

যদিও রতনকে দলের সক্রিয় কর্মী মানতে রাজি নয় তৃণমূল। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ মাইতির দাবি, ধৃত রতন তাঁদের দলের কোনও পদাধিকারী বা পরিচিত মুখ নয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথামতো কাজ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই বেছে বেছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

tmc NIA Suvendu Adhikari Khejuri Blast
Advertisment