একটানা ৪০ দিনের লড়াই শেষ। রামপুরহাটের বগটুইয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু আতাহার বিবির। শনিবার ভোররাতে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে এই মহিলার। বাকিদের সঙ্গে এই মহিলাও অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন। এতদিন রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তবে চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন তিনি। এই নিয়ে রামপুরহাট-কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় আরও এক মহিলার মৃত্যু। উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে খুন হন বড়শাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ। ভাদু খুনের কিছুক্ষণের মধ্যেই বগুটুই গ্রামে একের পর এক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। 'হিংসা'র আগুনে জ্বলতে থাকে বগটুই। অগিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় মহিলা, পুরুষ, শিশু-সহ বেশ কয়েকজনের।
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু মা-ছেলের, ময়নায় ঝড়ের বলি শিশু
সেদিন বগটুইয়ের অগ্নিকাণ্ডে গুরুতর জখম হয়েছিলেন এই আতাহার বিবিও। রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা চলচিল তাঁর। শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ অংশ পুড়ে গিয়েছিল এই মহিলার। একটানা ৪০ দিন ধরে চলেছে যমে-মানুষে লড়াই। শেষমেশ রবিবার ভোররাতে হাসপাতালে মৃত্যু আতাহার বিবির। বদটুইয়ের ঘটনায় এই নিয়ে মৃত বেড়ে ১০।
হাইকোর্টের নির্দেশে বগটুইয়ের ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। ধৃতদের দফায়-দফায় চালানো জেরায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদেরও। ফের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে স্বজনহারা মিহিলাল শেখ ও তাঁর ভাইপো কিরণ শেখের। ভাদু খুনের বদলা নিতেই বগটুই গ্রামে আগুন? জোরালো এই দাবির সত্যতা যাচাইের চেষ্টায় গোয়েন্দারা।