এযেন এক যাত্রায় পৃথক ফলের মতো ঘটনা। লটারিতে ভাগ্য ফিরল একজনের, সেই একই দিনে লটারিই আবার প্রাণ কাড়ল অন্যজনের। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের এই ঘটনা রীতিমতো চর্চায় উঠে এসেছে।
Advertisment
সাম্প্রতিক সময়ে খবরের কাগজের পাতা খুললেই লটারিতে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাওয়ার একের পর এক কাহিনী চোখে পড়ে। যদিও সেই খবরগুলির সত্যতা যাচাই করেনি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। লটারিতে বাজিমাত করার স্বপ্ন কম-বেশি অনেকেরই আছে। তবে সেই স্বপ্নই কখনও কখনও অভিশাপের মতো হয়ে দাঁড়ায়।
তমলুকের রঘুনাথপুর ১ নং পঞ্চায়েতের ডিমারির দুটি ঘটনা রীতিমতো চর্চায়। মহিষদা গ্রামের যুবক সুরজিৎ চন্দ্র। গরিব এই যুবকের স্বপ্ন ছিল কোটিপতি হওয়ার। সেই স্বপ্ন পূরণে লটারিকেই একমাত্র উপায় বলে মনে করেছিলেন সুরজিৎ।
প্রায় নিয়ম করে লটারি কেটে দিন বদলের স্বপ্নে বিভোর থাকতেন তিনি। এভাবে দিনের পর দিন লটারিতে টাকা উড়িয়ে একপ্রকার সর্বশান্ত হয়ে পড়েন তিনি। শেষমেশ চরম আর্থিক অনটন নেমে আসে পরিবারে। চূড়ান্ত মানসিক অবসাদে আত্মহননের পথ বেছে নেন ওই যুবক।
অন্যদিকে, যে লটারি প্রাণ কাড়ল এক যুবকের সেটাই আবার ভাগ্য ফেরাল অন্যজনের। কাকতালীয় হলেও ওই ডিমারি এলাকারই পাকুড় গ্রামের ফুটপাতের মাছ বিক্রেতা শক্তি বর্মন লটারিতে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন। দিন আনা দিন খাওয়া এই ব্যক্তি লটারিতে এক কোটি টাকা পেয়েছেন। স্বভাবতই গরিব এই পরিবারে এখন খুশির হাওয়া। স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় যারপরনাই খুশি শক্তিবাবু নিজেও। তবে সেই সঙ্গে পড়শি গ্রামের সুরজিতের চরম এই পরিণতি দুঃখজনক বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।