সরকারি স্কুলের শৌচাগারের ছাদ এবং পাঁচিল ভেঙে মৃত্যু হল একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের। গুরুতর জখম ওই শ্রেণিরই আরও এক ছাত্র। তাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মোথাবাড়ি থানার বাঙ্গিটোলা হাইস্কুলে।
Advertisment
স্কুলের শৌচাগারের মধ্যে দুর্ঘটনায় একাদশ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুতে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। মৃত ও আহত ছাত্রকে দেখতে মেডিকেল কলেজে ছুটে যান সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারা। এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছে মৃত ছাত্র ও আহতের পরিবার। পরে স্থানীয়রা স্কুলে ভাঙচুর চালায়। মারধর করা হয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
পুলিশ ওই স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম জিসান শেখ, তাঁর বয়স ১৭ বছর। জিসানের বাঙ্গিটোলা ফিল্ডকলোনি এলাকায়। আহতদের ছাত্রের নাম জিসান মোমিন (১৭)। তাঁর বাড়ি জোতঅনন্তপুর এলাকায়। দুজনেই একাদশ শ্রেণীতে পাঠরত।
জখম ছাত্র জিসান মোমিন
Advertisment
মৃতের ছাত্রের দাদা সফিকুল শেখ জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো ভাই এদিন স্কুলে গিয়েছিল। স্কুলের টিফিনের সময় শৌচাগারে যায় সে। তখনই শৌচাগারের ছাদের একটা অংশ এবং পাঁচিল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে ভাইয়ের মাথার ওপর পড়ে। সেই সময় আরও এক ছাত্র বাথরুমে ছিল। সেও গুরুতর জখম হয়েছে। দুজনকেই স্থানীয়রা তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিকটবর্তী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, জিসান শেখের মৃত্যু হয়।
স্কুলের শৌচাগারের ছাদ এবং পাঁচিল ভেঙে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলপ এঁটেছে বাঙ্গিটোলা হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরকম মর্মান্তিক ঘটনা জানাজানি হতেই বাঙ্গিটোলা এলাকায় চরম অসন্তোষ ছড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের শৌচাগারটি বেহাল হয়ে থাকলেও কেন তার সংস্কার করা হয়নি? সেই প্রশ্নই তুলেছেন মৃত ও আহতদের পরিবার।
তাদের অভিযোগ, শিক্ষা অর্জন করতে গিয়ে বাড়ির ছেলেকে জীবন দিতে হলো। এই ক্ষতিপূরণ কীভাবে মিটবে। পুরো ঘটনার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন মৃত ছাত্রের পরিবার। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ নালিশ জানিয়েছে মৃত ছাত্রের পরিবার।
মোথাবাড়ি থানার পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলের শৌচাগারের ছাদের একটা বড় অংশ এবং পাঁচিল ভেঙে দুই ছাত্র জখম হয়। এরপর গ্রামীণ হাসপাতালে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। আরও একজন জখম রয়েছে। কীকরে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।