সপ্তাহখানেক যা দাম ছিল, তা এখন প্রায় দ্বিগুণ। পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝে চোখে জল মধ্যবিত্ত বাঙালির। সপ্তাহখানেক আগে দাম ছিল কেজি প্রতি ৩৫-৪০ টাকা। কিন্তু এখন তা বিকোচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহেও কলকাতা-সহ জেলার বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু চলতি সপ্তাহে তা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির জেরে সোমবার শিয়ালদহের কোলে মার্কেটে পরিদর্শনে যান কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডিসি। কথা বলেন, বিক্রেতাদের সঙ্গে। কেন দাম বাড়ল জানতে চান। মানিকতলা, উল্টোডাঙা, কলেজ স্ট্রিট, গড়িয়াহাট,, ল্যান্সডাউন, লেক মার্কেটের বাজারগুলিতে মঙ্গলবার প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। কোলে মার্কেটে বিকিয়েছে ৭০ টাকা কেজিতে।
কোলে মার্কেটে পাঁচ কেজি একসঙ্গে কিনলে ৩০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই কোলে মার্কেট থেকে পেঁয়াজ কিনছেন। পেঁয়াজের দামে কলকাতার মতো পাল্লা দিচ্ছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিও। বিভিন্ন জেলায় ৭০-৮০ টাকা কেজি প্রতিতে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ। দুর্গাপুজোর পরে পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এই মূল্যবৃদ্ধি সাময়িক, দিন ১৫ পরেই দাম আবার কমবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
আরও পড়ুন সিঙ্গুরে টাটাকে ক্ষতিপূরণ! এরপরও শিল্প সম্মেলন থেকে বিরাট আশা মমতা সরকারের
কিন্তু আচমকা এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী কেন? ব্যবসায়ীদের দাবি, পেঁয়াজ সরবরাহকারী দুই প্রধান রাজ্য মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকে অনাবৃষ্টির কারণে খারিফ বা বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষে ক্ষতি হয়েছে। এবার দেশের পশ্চিমভাগে বর্ষায় অনিয়মিত বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও প্রচুর হয়েছে আবার কোথাও ছিঁটেফোটাও নয়। ফলত চাহিদার তুলনায় জোগান কম, মজুতও ফুরিয়ে এসেছে।
বাংলার কয়েকটি জেলায় পেঁয়াজ চাষ হয়। পূর্ব বর্ধমানে প্রায় চার হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়। কিন্তু তা শীতকালীন। চাষিদের দাবি, এবছর সেপ্টেম্বরে নিম্নচাপের জেরে পেঁয়াজের চাষ শুরু হয়েছে অক্টোবরে। ওই মাসেও বৃষ্টি বাদ সেধেছে চাষে। টানা বৃষ্টিতে মেদিনীপুরে পেঁয়াজ চাষে ক্ষতি হয়েছে। এই চাষে ক্ষতি না হলে জোগানের ঘাটতি কিছুটা কমত বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।