রাজ্যের ডিএলএইড কলেজগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মামলাও দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। শুনানিতে একাধিকবার আদালতের কড়া ভৎসর্নার মুখে পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবার ডিএলএইড কলেজগুলিতে অফলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদ। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা সদসেদর তরফে জানানো হয়েছে যে, অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ডিএলএইড কলেজগুলিতে ভর্তি সম্ভব।
পর্ষদের কেন এই পদক্ষেপ?
অর্থাৎ এবার রাজ্যের প্রায় ৪৪টি সরকারি ও ৬০০টি বেসরকারি ডিএলএইড কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া হবে অনলাইনে। ডিএলএইড কলেজগুলির ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতেই এই পদক্ষেপ বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে।
আদালতে কী দাবি পর্ষদের?
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এ দিন ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কিত মামলার শুনানি হয়। ওই মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে পর্ষদের আইনজীবী আদালতে বলেন, 'সবকিছু হবে অনলাইনে। তাহলে একটা রেকর্ড থাকবে। সেই নথি সংরক্ষণ করা যাবে। অফলাইনে হলে হার্ড কপি মিসিং হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকত। অনলাইনে সবটাই সংরক্ষিত থাকবে। সেকারণেই এমন সিদ্ধান্ত।' এমনকী মেধাতালিকাও প্রকাশিত হবে অনলাইনে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ:
স্বচ্ছতা স্বার্থে ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অনলাইন পদ্ধতির বিষয়টির প্রশংসা করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর পর্যবেক্ষণ, 'স্বচ্ছতা আনতে এটা খুব ভাল সিদ্ধান্ত। তবে দেখা যাক কতদিন থাকে।'
কেন ডিএলএইড প্রশিক্ষণ?
প্রাথমিক শিক্ষকতা করার জন্য ডিএলএইড প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক। প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় বসতে হলে হলেও প্রথমে দুই বছরের ডিএলএড প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করতে হয়।
শূন্যপদ কত?
ডিএলএইড এর দ্বিতীয় পর্বের ভর্তির প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এবারের মোট শূন্য আসন ৪৫ হাজার। আবেদনপত্র জমা পড়েছে ৫০ হাজারের কাছাকাছি। পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্ত শূন্য পদ পূরণ না হলে আবার আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হতে পারে।
আরও পড়ুন- ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলা: অসন্তুষ্ট ইডি, নুসরত জাহানের কাছে এবার কী চাইল?