শুধুমাত্র ডিএলএড, ডিএড প্রশিক্ষিতরাই অংশ নিতে পারবেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায়। সুযোগ পাবেন না বিএড প্রশিক্ষিতরা। বিএড প্রশিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে ডিএড প্রশিক্ষিতদের নিয়োগ করা হবে না। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছ সুপ্রিম কোর্ট। গোটা দেশেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে।
পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে বিএড ডিগ্রিধারী শিক্ষকের সংখ্যা প্রচুর। এত দিন এনসিটিই-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, শুধু বিএড প্রশিক্ষিতরা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রাথমিকেও সুযোগ পেতেন। কিন্তু ডিএলএডদের সেই সুযোগ ছিল না। তাঁরা শুধু প্রাথমিকেই বসার সুযোগ পেতেন। এনসিটিই-র ওই নির্দেশিকা চ্যালেঞ্জ করে দেশ জুড়ে মামলা করেন ডিএলএড-রা। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ডিএড বা ডিএলএড ডিগ্রি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার জন্য নির্দিষ্ট। আর উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বিএড বাধ্যতামূলক। তাই চাকরিতে সুযোগের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট করে কোর্স থাকা প্রয়োজন। কারণ, বিএডদের প্রাথমিকের চাকরিতে সুযোগ দেওয়া হলে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ডিএলএডদের।
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, যেহেতু ডিএলএড এবং ডিএড ডিগ্রিধারীরা প্রাথমিক স্তরে পড়ানোর জন্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তাই তাঁদেরই প্রাথমিকে শিক্ষক পদে নিয়োগ করা উচিত। বিএড ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ করা হোক মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে।
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে এ কী কাণ্ড! বিজেপির সমর্থনে পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়ল মমতা ‘ঘনিষ্ঠ’ সুফিয়ানের জামাই
সুপ্রিম কোর্টের এ দিনের নির্দেশের ফলে ২০১৮ সালের এনসিএলটি বিজ্ঞপ্তি খারিজ হয়ে গেল। ওই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এনসিএলটি জানায়, সারাদেশে বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাও প্রাথমিক শিক্ষক হতে পারবে। তবে নিয়োগের পর ৬ মাসের একটি ব্রিজ কোর্স করতে হবে তাদের। সেই বিতর্কের অবসান হল দীর্ঘ ৫ বছর পর।
সুপ্রিম কোর্টের এ দিনের নির্দেশে রাজ্যের প্রাথমিকের চলতি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কয়েক হাজার বিএড উত্তীর্ণ আবেদন করেছেন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি প্রাথমিকে নিয়োগে নতুন নীতি এবং পদ্ধতি গ্রহণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।