Lok Sabha Election 2024 Ghatal: পুরোদস্তুর প্রচারে ব্যস্ত দেব। নারায়ণগড় থেকে ডেবরা জনসংযোগ করছেন ঘাটালের তারকা তৃণমূল প্রার্থী। তিনবারের সাংসদ দেব। ২০১৪ সালে ১ লাখের বেশি ব্যবধানে জিতলেও গতবার তা কমে দাঁড়ায় প্রায় ৯২ হাজারে। এবার কি সেই মার্জিন বাড়বে? দেবের বিপরীতে এবার বিজেপির বাজি খড়্গপুরের বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণ। মাঝে মধ্যেই দেবকে 'দুর্নীতিপরায়ণ' বলে হুঙ্কার ছাড়ছেন তিনি। ফলে জমে গিয়েছে দুই দলের দুই তারকার লড়াই। জয়ের বিষয়ে আশাবাদী দেব। কিন্তু, মনের কোণে কি কৌথাউ দ্বন্দ্বও রয়েছে? কারণ, রারায়ণগড় থেকে ডেবরা- দেবের মুখে একই কথা, 'এই মুহূর্তে তৃণমূলকে হারাতে পারে একমাত্র তৃণমূলই।'
তাহলে কী দলের অন্দরে গোষ্ঠী কোন্দলকে ইঙ্গিত করতে চাইছেন দেব? তাই কি বারে বারেই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করছেন? সূত্রের খবর, তৃণমূলের গোষ্ঠী রাজনীতিতে তিতিবিরক্ত হয়ে দেব কয়েক মাস আগেই রাজনীতি ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। ইস্তফা দিয়েছিলের সরকারি বেশ কয়েকটি পদ থেকেও। তারপরই লোকসভা ভোটের আগে সমস্যা মেটাতে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে তৃণমূল। শেষপর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেই নিজের রাজনীতির গুরু বলে মেনে নিয়ে ফের সক্রিয় রাজনীতিতে দেব। এমনকী তৃণমূলও তাঁকে সেই ঘাটাল থেকেই প্রার্থী করেছে।
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh: দুরন্ত দিলীপ! মাঠে নেমেই হাঁকালেন চার-ছক্কা! ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ মেজাজে যা বললেন…
কিন্তু অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সঙ্গেই বাস্তবতা আঁচ করতে পারছেন দেব। তাই হয়তো শুক্রবার ডেবরা অডিটোরিয়াম হলে ভরা সভায় দেব অক্লেশে বললেন, 'সবাই নেতা হতে চান। কিন্তু একটা জিনিস বুঝেছি। বড় জিনিস হল সম্মান। কর্মীরা সম্মান চান।' এরপরই দেবের আশ্বাস, 'আপনারা যা যা বলবেন, আমি তাই তাই করব।'
প্রচারে দেব নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন। সেই সময়ই বলেন, '২০১৯ সালের অভিজ্ঞতা ভাল ছিল। আমি ভোট শিখেছিলাম। কেউ বলেছিলেন ৩০ হাজার লিড হবে। কেউ বলেছিলেন ৪০, কেউ বলেছিলেন ৫০ হাজার লিড হবে। ২০২৪ সালে এসে আমি একটি জিনিস শিখলাম। ২০১৪-এ লোকসভা, ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের সময় পার্টির হয়ে নানা জায়গায় ঘুরেছি। ২০২১ সালেও তাই করেছি। এই সময়ে দাঁড়িয়ে আমার মনে হয়েছে, তৃণমূলের সংগঠন সবচেয়ে শক্তিশালী। আমাদের ধারেকাছে কেউ নেই। আমার মনে হয়, তৃণমূলকে অন্য কোনও দল হারাতে পারবে না। তৃণমূলকে হারাতে পারে শুধুমাত্র তৃণমূল।'