Malda News: মালদায় ব্যাঙ্কের ভোটেও 'ছাপ্পা'র অভিযোগ। প্রতিবাদ জানিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যান বাম-কংগ্রেসের জোটের প্রার্থীরা। ARDB ব্যাঙ্কের নির্বাচন ঘিরে চূড়ান্ত অশান্তি হয় মালদায়। মালদহের সামসির এগ্রিল হাই স্কুলে ব্যাঙ্কের নির্বাচন ঘিরে তমুল অশান্তি হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ বিরোধীদের। বুথের বাইরে বিরোধীদের ক্যাম্পে ভাঙচুরের অভিযোগও ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।
মালদার (Malda) এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের কমিটি গঠনের জন্য মোট ৩৪টি আসনে নির্বাচন হয়। রতুয়ার সামসি, গাজোল এবং ইংরেজবাজারে নির্বাচন। সামসি এগ্রিল হাই স্কুলে হরিশ্চন্দ্রপুর চাঁচোল এবং রতুয়ার ৯টি আসনের জন্য নির্বাচন হয়। আর এই নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় সামসির এগ্রিল হাই স্কুলে। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই স্কুলে নির্বাচনে ছাপ্পা ভোট দিয়েছে তৃণমূল (TMC)। বাইরে বিরোধীদের ক্যাম্পেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। প্রতিবাদ দেখিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী।
জোটের প্রার্থী সামসির মোহাম্মদ নওশাদ আলি বলেন, "ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে শাসক দলের গুন্ডাবাহিনী ঢুকে আমাদের মারধর করছে। পুলিশ নিশ্চুপ হয়ে বসে রয়েছে। তারা কিছু করেনি। এমনকী ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে পুলিশের সামনে। আমরা ভয়ে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমরা পালিয়ে যাচ্ছি।"
মালদা জেলা সিপিআইএম সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, "মালদা জেলায় ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে। তাই ব্যাঙ্কের নির্বাচনেও পুলিশের সামনে দেদার ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে শাসকদলের নেতা কর্মীরা। অথচ পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে রয়েছে। তাই আমাদের প্রার্থী থেকে কর্মীরা এই ভোট বয়কট করে বেরিয়ে এসেছে। ভোটকেন্দ্রের মধ্যেই আমাদের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করছে। আমরা এই ভোট মানি না।"
আরও পড়ুন- Ilish: বাড়ছে জোগান, এবছর কোথায় নামতে পারে ইলিশের দাম? জানলেই লাফাবে ভোজনরসিক বাঙালি!
দক্ষিণ মালদা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী বলেন, "এটা ভোট বলে না। এটা হচ্ছে শাসকদলের গুন্ডা রাহাজানির জায়গা। ফলে শাসকদলের গুন্ডাবাহিনী ভোট গ্রহণ কেন্দ্র ক্যাপচার করে দেদার ছাপ্পা ভোট করেছে। বিরোধীদের ভেতরের থাকতে দেয়নি। মারধর করা হয়েছে। পুলিশ শাসকদলের হয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে হাত-পা গুটিয়ে বসে রয়েছে। এটাই হচ্ছে বাংলা, যেখানে সাধারণ মানুষের গণতন্ত্র প্রয়োগ করতে দেওয়া হয় না। এই ধরনের ভোটকে আমরা ধিক্কার জানাই।"
যদিও বিরোধীদের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, "কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি মিলে একটা জোট করেছে। তারা আমাদের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মানুষ নেই তাদের সাথে। লোকসভা ভোটে মানুষ আমাদের ভুল বুঝেছিলেন। ভুল বোঝার কারণে কিছু ভোট ওরা পেয়ে গেছে। তবে এবার আমরা ব্যাঙ্কের ৩৪ টি আসনের মধ্যে ৩৪টিতেই জয়ী হয়েছি।"