আবারও অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সাক্ষী হল শহর কলকাতা। জোকার মহিলা অঞ্জনা ভৌমিকের হাত ধরে অঙ্গপ্রতিস্থাপন হল কলকাতায়। আন্দুলের হাসপাতালে ব্রেন ডেথ হয় অঞ্জনা ভৌমিকের। তারপরই অঞ্জনার পরিবারের তরফে অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অঞ্জনার হৃদযন্ত্র, ত্বক, কিডনি, লিভারে বাঁচবেন অন্যরা।
অঞ্জনা ভৌমিকের হৃদযন্ত্র পেলেন নদিয়ার তেহট্টের বাসিন্দা মৃন্ময় দাস। গত ১ বছর ধরে হৃদরোগে ভুগছেন মৃন্ময়। এসএসকেএমে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হবে। এদিন সকালে মাত্র ১২ মিনিটে আন্দুল থেকে এসএসকেএমে গ্রিন করিডর করে অঙ্গ আনা হয় এসএসকেএমে। অফিস টাইমে ব্যস্ত সময়েও কামাল করল গ্রিন করিডর। অন্যদিকে, অঞ্জনা ভৌমিকের চক্ষুদান করা হবে শঙ্কর নেত্রালয়ে। কিডনি পান হাওড়া সাঁকরাইলের বছর ষাটের হারুন রসিদ খান। লিভার পান ৫৩ বছরের রীনা শি।
আরও পড়ুন, এ বছরে শহরে প্রথম অঙ্গদান, শিক্ষিকার কিডনি-লিভারে বাঁচবে আরও জীবন
অঞ্জনার দাদা শ্যামল দাস ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, ‘‘বোন যখন নেই আর তখন বোনের অঙ্গ গুলি যদি মরণাপন্ন কোনও গরিব মানুষ পেয়ে থাকেন তাহলে আমরা মনে করব তাঁর শরীরের মধ্যে দিয়েই বেঁচে আছে আমাদের বোন। তবে আমাদের একটি অনুরোধ এই অঙ্গগুলো যেন কোনও টাকার বিনিময়ে প্রতিস্থাপন না করা হয়। মানে রোগীর পরিবারের কাছ থেকে অধিক টাকা যেন না নেওয়া হয়’’।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে নয়াবাদের বাসিন্দা সুমিতা বসুর হাত ধরে শহরে এ বছরে প্রথম অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়। পেশায় শিক্ষিকা সুমিতা বসুর(৫৪) কিডনি ও লিভার পেয়ে নতুন জীবন পান অন্যরা।সুমিতা দেবীর ব্রেন ডেথ হয়েছে বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তারপরই তাঁর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেয় বসু পরিবার। সুমিতাদেবীর ২টি কিডনি ও লিভার দান করা হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।