মুসলিম প্রীতি নিয়ে মাঝে মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে পদ্ম বাহিনী। কিন্তু, এবার উল্টো ছবি। আরএসএসের প্রশংসা করায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান ইমামদের সংগঠন। বাংলা আদৌ মুসলমানদের জন্য আর নিরাপদ কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হল।
আরএসএস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য
বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে সংবাদমাধ্যমের দফতরে আয়কর হানা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গেই আসে আরএসএস প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'সব মালিককেই থ্রেট করা হচ্ছে। আর একটা করে লোক গিয়ে আরএসএসের নাম করে… আরএসএস এত খারাপ ছিল না। এত খারাপ বলে আমি বিশ্বাস করি না। এখনও ওদের মধ্যে কিছু ভদ্রলোক আছে যারা বিজেপিকে ওভাবে সমর্থন করে না। তারাও একদিন বাঁধ ভাঙবে।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আরপএসএস প্রীতি নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলত ইমামদের সংগঠন। বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহঃ ইয়াহিয়া একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, 'আরএসএস সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বিপদজ্জনক ও আশঙ্কাজনক মে হয়েছে। ভারতের ২০ কোটি মুসলিম মুখ্যমন্ত্রীর নিরপেক্ষতার দিকে তাকিয়ে থাকেন। তাদের কাছে এই বার্তা অশনিসঙ্কেত বয়ে নিয়ে আসবে।'
রাজ্যের মুসলিম মন্ত্রীদের প্রতি মহঃ ইয়াহিয়ার প্রশ্ন, 'পশ্চিমবঙ্গের যেসব মুসলিম নেতৃত্ব রয়েছেন, ফিরহাদ হাকিম সাহেব, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, গোলাম রব্বানি, জাভেদ খান, আকরুজ্জামান সাহেব, সাবিনা ইয়াসমিন তাঁরা কী ভাবছেন? তাঁরা কী মুখ্যমন্ত্রীর কথাকে সমর্থন করছেন? ডেরেক ও'ব্রয়ানও কী সমর্থন করছেন? আমাদের জানতে খুব ইচ্ছা করছে।'
মহঃ ইয়াহিয়ার সংযোজন, 'পশ্চিমবঙ্গে যখন কোনও মুসলিম ছেলেকে, সে যদি মুরগি চোরও হয় তাকে গ্রেফতার করা হয়, মিথ্যা মামলায় ইউএপিএ কেস দেওয়া হয়, তখন এইসব মুসলিমরা চুপ করে থাকে। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য কী সেই বার্তাই দিচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গেও মুসলিমরা নিরাপদ নয়। এখানেও ইউএপিএ-র মতো মিথ্যা কেস দেওয়া হচ্ছে। উদিত নারায়ণের সেই গান মনে পড়ছে- কভি দুশমন হ্যায়, কভি ইয়ার হ্যায় হাম দোনো।'
উল্লেখ্য, ২০২১ বিধানসভা ভোট সহ তার আগের বেশ কয়েকটি বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে রাজ্যের মুসলিমদের অধিকাংশের সমর্থনেই গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে।