ক্রমশ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। করোনা সংক্রমণের নিরিখে দেশে চতুর্থ স্থানে রাজ্য। দেশের ৮টি জেলার মধ্যে কলকাতায় পজিটিভিটি রেট ৮.৫ শতাংশ। সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ১.৪৫ থেকে বেড়ে ৩.১ শতাংশ হয়েছে। বাংলায় এখনও পর্যন্ত ১১ জন ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম স্বাস্থ্যসচিব লব আগরওয়াল।
এদিন তিনি বলেন, প্রত্যেক রাজ্যের সঙ্গে করোনা মোকাবিলা নিয়ে কথা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে পজিটিভিটি রেট অনেকটাই বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। কেরলেও পজিটিভিটি রেট অনেকটাই বেড়েছে। সংক্রমণ উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে গুজরাট, দিল্লিতে। অবিলম্বে করোনা বিধি মানতে কড়াকড়ি প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গে-সহ ১০টি রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, ওমিক্রন উদ্বেগের মধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্ক করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবনের পর্যবেক্ষণে উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই রাজ্যে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা স্বাস্থ্য দফতরের। দিল্লির মতো কলকাতাতেও গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত মিলেছে। তৃতীয় ঢেউয়ে দৈনিক ৩০-৩৫ হাজার সংক্রমণের পূর্বাভাস স্বাস্থ্য দফতরের। আবার মার্চ-এপ্রিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
আরও পড়ুন শুধুমাত্র টিকার কারণেই ওমিক্রনে মৃদু উপসর্গ? জেনে নিন কী বলছেন বিজ্ঞানীরা
জানা গিয়েছে, সরকারি ল্যাবগুলিতেও কোভিড টেস্ট নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। আরটি-পিসিআর টেস্ট দ্বিগুণ করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতালের ওপিডি, এমার্জেন্সিতে কোভিট টেস্ট বাধ্যতামূলক করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন ‘করোনা খানিকটা বেড়েছে, তবে এখনই সব কিছু বন্ধের দরকার নেই’, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে, বাংলার করোনা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে সরকার, প্রয়োজন অনুযায়ী সব পদক্ষেপ করার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে এখনই সব কিছু বন্ধ করে দিতে চান না মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার গঙ্গাসাগর থেকে কলকাতায় ফেরার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রত্যেককে কোভিড বিধি মেনে চলার ব্যাপারে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
ফের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে হু হু করে। বুধবার রাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া করোনা পরিসংখ্যানে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। একদিনে বাংলায় করোনায় কাবু হাজারেরও বেশি। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। গতকাল পর্যন্ত রাজ্যে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৭২৭। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার এমনই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন গঙ্গাসাগরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”করোনা খানিকটা বেড়েছে। সবাই কোভিড বিধি মেনে চলুন। সামনে বর্ষবরণ, পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। যা যা পদক্ষেপ করার করছি।”