একেই বলে ভাগ্য। ছিলেন ভাগচাষি। মাত্র ৩০ টাকার লটারি টিকিট কেটে রাতারাতি হলেন কোটিপতি। সেই খবর জেনেই তড়িঘড়ি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন চাচোল মহাকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সূর্যাপুর গ্রামের কোটিপতি ভাগচাষি মহবুব আলম।
জানা গিয়েছে যে, সোমবার দুপুর বারোটা নাগাদ মহবুব আলম মাত্র ৩০ টাকা দিয়ে ৫ ডিয়ার লটারির টিকিট কেটেছিলেন। আর তাতেই বাজিমাত। সন্ধ্যা ছয়টার সময় রেজাল্ট বের হতেই তিনি জানতে পারেন, তাঁর ভাগ্যে জুটেছে প্রথম পুরস্কারের ১ কোটি টাকা। গরিব পরিবারের ওই ভাগচাষি মহবুব আলম হঠাৎ করে কোটিপতি হয়ে যাওয়ায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন। তাই রাতেই তড়িঘড়ি লটারির টিকিট নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় পুলিশি সহযোগিতার জন্য হাজির হন।
মহবুব আলম জানিয়েছেন, তিনি একজন ভাগচাষি। তার ভাঙা বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। অন্যের জমি চাষবাস করে কোনওরকমে সংসার চলছিল। তবে মাঝে মধ্যে তিনি খুচরো টাকা থাকলেই লটারি টিকিট কাটতেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল একদিন ভাগ্য বদলাবেই। সোমবার সেটাই হল।
গতকাল দুপুরে জমি থেকে কাজ করে ফেরার পথে কুমেদপুর লটারি এজেন্সির টিকিট বিক্রেতা সেন্টু রবিদাসের কাছ থেকে মাত্র ৩০ টাকা দিয়ে ‘ডিয়ার' লটারির টিকিট কাটেন আলম।ভাবতে পারেননি,ওই ৩০ টাকার লটারির টিকিট তাঁর জীবনের চাকা ঘুরিয়ে দেবে। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাবেন।
কোটি টাকা নিয়ে কী করবেন, সে ব্যাপারে এখনও বিশেষ পরিকল্পনা করেননি মহবুব আলম। তবে একটি ভালো বাড়ি বানানোর ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। এছাড়া ছেলে,মেয়েদের ভালভাবে পড়াশোনা শিখিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করাতে চান তিনি। হঠাৎ করে লটারিতে ১ কোটি টাকা জেতার খবর পেয়ে আনন্দে অভিভূত আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে তাঁর গোটা পরিবার।