Shahnawaz Ali Raihan: অক্সফোর্ড স্কলার-CAA বিরোধী মুখ, মালদা দক্ষিণে কেন রাইহানের উপর ভরসা তৃণমূলের?
Shahnawaz Ali Raihan: রাইহানের নাম ঘোষণার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে বাকযুদ্ধে মেতেছে তৃণমূল আর বিজেপি। কারণ তিনি এনআরসি এবং সিএএ-র মতো বিষয় নিয়ে প্রতিবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৯-২০ সালে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সোমবারই নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হয়েছে দেশজুড়ে। আর তাঁর বিরুদ্ধে সোচ্চার রাইহানকে প্রার্থী করে বিজেপিকে বড় বার্তা দিয়েছে তৃণমূল।
Shahnawaz Ali Raihan: রাইহানের নাম ঘোষণার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে বাকযুদ্ধে মেতেছে তৃণমূল আর বিজেপি। কারণ তিনি এনআরসি এবং সিএএ-র মতো বিষয় নিয়ে প্রতিবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৯-২০ সালে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সোমবারই নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হয়েছে দেশজুড়ে। আর তাঁর বিরুদ্ধে সোচ্চার রাইহানকে প্রার্থী করে বিজেপিকে বড় বার্তা দিয়েছে তৃণমূল।
মালদা দক্ষিণের মতো কংগ্রেসের শক্তিশালী গড়ে তৃণমূল বাজি ধরেছে ৪২ বছরের শিক্ষাবিদ তথা প্রাক্তন সাংবাদিক শাহনওয়াজ আলি রাইহানের উপর।
TMC Candidate List: রবিবাসরীয় ব্রিগেডে লোকসভা নির্বাচনে তাঁর নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা হতেই অনেকে অবাক হয়েছিলেন। মালদা দক্ষিণের মতো কংগ্রেসের শক্তিশালী গড়ে তৃণমূল বাজি ধরেছে ৪২ বছরের শিক্ষাবিদ তথা প্রাক্তন সাংবাদিক শাহনওয়াজ আলি রাইহানের উপর। প্রথম ভোটের ময়দানে। তাও আবার কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিতে। যেই কেন্দ্রের সাংসদ আবু হাশেম খান চৌধুরি। ২০০৯ সাল থেকে তিনি এই কেন্দ্রের সাংসদ।
Advertisment
রাইহানের নাম ঘোষণার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে বাকযুদ্ধে মেতেছে তৃণমূল আর বিজেপি। কারণ তিনি এনআরসি এবং সিএএ-র মতো বিষয় নিয়ে প্রতিবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৯-২০ সালে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সোমবারই নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হয়েছে দেশজুড়ে। আর তাঁর বিরুদ্ধে সোচ্চার রাইহানকে প্রার্থী করে বিজেপিকে বড় বার্তা দিয়েছে তৃণমূল।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট অ্যান্টনি কলেজে ডিফিল করছেন ২০১৮ সাল থেকে। বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ফয়সল দেবজির তত্বাবধানে পড়াশোনা করছেন তিনি। রাইহানের বিষয় হল মার্ক্স এবং মহম্মদ ও বাংলার মুসলিম-বামপন্থীদের নিয়ে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে রাইহান বলেছেন, তিনি বরাবরই বিজেপির বিভাজনের নীতি এবং রাজনীতির বিরুদ্ধে। বলেছেন, এখন আমি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি কারণ আমার এলাকা মালদায় বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি। আমার বক্তব্য এবং লেখা দিয়ে আমি এই রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রচার করছি।
Advertisment
কালিয়াচক ২ ব্লকের মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র তাঁর খাসতালুক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক হওয়ার পর তিনি মাস কমিউনিকেশন নিয়ে মাস্টার্স করেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষার পর জামাতে-এ-ইসলামি হিন্দ নামে ইসলামিক ছাত্র সংগঠনের সংস্পর্শে আসেন। সংগঠনের জাতীয় সম্পাদক ছিলেন তিনি। দিল্লিতে পড়াশোনার পর তিনি কলকাতায় ফিরে এসে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাজ করেন।
সূত্রের খবর, তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরেই রাইহানের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিল। তাঁকে ভোটে দাঁড়ানোর জন্য রাজি করাতেও অনেক কসরত হয়েছে জোড়াফুল শিবিরের। রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নাম ঘোষণার পর রাইহান বলেছেন, 'মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ আমার উপর আস্থা রাখার জন্য। আমি মালদা দক্ষিণের মানুষের আশাপূরণের যথাসাধ্য চেষ্টা করব। ওখানে বিভাজনের শক্তির কোনও স্থান নেই।'
৪২ বছরের তৃণমূল প্রার্থীকে নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপির সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, মুসলিম মৌলবাদীদের ধোঁয়া দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, 'রাইহান এমন এক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল যাদের সঙ্গে কাশ্মীরে সন্ত্রাস-বিচ্ছিন্নতাবাদে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমন লোককে প্রার্থী করে মৌলবাদীদের উৎসাহ দিচ্ছেন মমতা।'
পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাইহান। তিনি বলেছেন, 'আমি ভারতকে ভালবাসি। আর আমার দেশের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলিনি। বিজেপির আইটি সেল আমার নাম ঘোষণার পর থেকেই আমাকে আক্রমণ করছে। মিথ্যা অপপ্রচার করছে, ভুয়ো খবর করছে। আমি বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছি সিএএ-এনআরসি নিয়ে। যার সাহায্যে মানুষকে দেশছাড়া করার ছক কষেছে বিজেপি।'
রাইহান বর্তমানে লন্ডননিবাসী। তাঁর স্ত্রী একজন চিকিৎসক এবং এক কন্যাসন্তান রয়েছে তাঁর। তিনি আরও অনেক মুসলিম সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। বলেছেন, 'মুসলিম সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া কি অপরাধ?'