ছাত্রীর অদম্য জেদ, প্রশাসনের সক্রিয় পদক্ষেপ, নাবালিকা বিয়ে রুখলেন 'পদ্মশ্রী' কমলি

হবিবপুর এলাকার অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। যার বিষয় প্রতিবাদ করেন কমলি হাঁসদা।

হবিবপুর এলাকার অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। যার বিষয় প্রতিবাদ করেন কমলি হাঁসদা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Padmashri Kamalini Hansda stopped minor marriage at malda

নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত কমলি হাঁসদা। ছবি- মধুমিতা দে

নাবালিকা বিয়ে রুখলেন পদ্মশ্রী প্রাপক কমলি হাঁসদা। কিছুদিন আগেই গাজোলের বাসিন্দা কমলি হাঁসদা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। এরপর মালদা ফিরেছেন তিনি। লেগে পড়েছেন নাবালিকা বিবাহ বন্ধের কাজে। অভিযোগ, হবিবপুর এলাকার অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। যার বিষয় প্রতিবাদ করেন কমলি হাঁসদা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে ওই বিয়ে আটকে দেন। 

Advertisment

জানা গিয়েছে, আদিবাসী অধ্যুষিত হবিবপুর ব্লকের বিজইল গ্রামের ঘটনা অষ্টম শ্রেণীর এক নাবালিকার বিয়ের তোরজোর চলছিল সোমবার। স্থানীয় বিজইল জুনিয়র হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সে। অভিযোগ, জোর করে তাঁর বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বাবা দিলীপ হাঁসদা সহ পরিবারের লোকজন। আতঙ্কে লুকিয়ে ওই ছাত্রী স্কুল শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় হালদারকে ফোন করে। এরপরেই উদ্বিগ্ন শিক্ষক পরিচিত ও সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি জানতে পেরেই ছুটে আসেন পদ্মশ্রী কমলি হাঁসদা। পরে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে ওই নাবালিকার বিয়ে রুখে দেন তিনি।

পদ্মশ্রী প্রাপক কমলি হাঁসদার কথায়, 'ওই নাবালিকা পড়াশোনা করতে চেয়ে পরিবারেরকে জানিয়েছিল। কিন্তু পরিবারের লোকেরা অল্প বয়সে তাদের মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল। সোমবার ছিল বিয়ে। এরই মধ্যে ওই ছাত্রী কারোর মোবাইল জোগাড় করে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সহযোগিতা চায়। আমি বিষয়টি জেনে হবিবপুর গ্রামের ওই ছাত্রীর বাড়িতে ছুটে যাই। দেখি বিয়ের তোরজোর চলছে। কিন্তু এত অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া যাবে না, একথা পরিবারের লোকেদের জানানো হলে তারা অসন্তোষ দেখায়। পরে অবশ্য পরিবারকে সচেতন করা হলে এবং প্রশাসন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ায় ওই ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ হয়েছে।'

এদিকে অল্প বয়সে নিজের বিয়ে বন্ধ হওয়ায় বেজায় খুশি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীটি। ভবিষ্যতে অধ্যাপিকা হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে তার। তাই তাই সে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়। 

Advertisment

ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

West Bengal Maldah