মালদা মেডিক্যাল কলেজের অব্যবস্থার ছবি আবারও একবার ভাইরাল হল। যাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে সমালোচনার শুরু হয়েছে। এমনকি রাজনৈতিক দোষারোপের পালাও তুঙ্গে উঠেছে। চিকিৎসা করাতে এসে বেড না পেয়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেঝেতে বসে রয়েছেন পদ্মশ্রী কমলি সোরেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ছবি। বিষয়টি জানাজানি হতে নড়ে চড়ে বসল মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তড়িঘড়ি মহিলা ওয়ার্ড থেকে এইচডিওতে রেফার করা হল তাঁকে। আর এই নিয়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজের অব্যবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। ঘটনাটি অমানবিক তবে চিকিৎসায় কোনও সমস্যা হবে না দাবি তৃণমূলের।
সোমবার রাতে জ্বর নিয়ে মালদা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন মালদার গাজোলের বাসিন্দা পদ্মশ্রী কমলি সোরেন। কিন্তু বেড না মেলায় রাতভর মেঝেতে বসে থাকতে হয় তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হয়। আর যা নিয়ে কার্যত একযোগে মেডিক্যাল কলেজকে দুষছে বিজেপি ও তৃণমূল। পদ্মশ্রী প্রাপক কমলি সোরেনের মেয়ে কুমলি সোরেন বলেন, "ওনাকে সোমবার রাতে শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে ভর্তি করানো হয়েছিল। বেড না থাকার জন্য মেঝেতে শুয়ে থাকতে হয় । পরে যখন কর্তৃপক্ষ জানতে পারে উনি পদ্মশ্রী পেয়েছেন, তারপরেই নড়েচড়ে বসেন। তবে এখন উনি ভাল আছেন।"
আরও পড়ুন ঘণ্টা বাজিয়েই ক্লাসে দৌড়, শতাধিক ছাত্রী পড়াতে ‘চোখের জলে-নাকের জলে’ দুই শিক্ষিকার
বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী বলেন, "এই ধরনের ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজের অব্যবস্থা আবারো প্রকাশ্যে চলে এসেছে। উনি একজন পদ্মশ্রী প্রাপক। তাঁর যদি এই অবস্থা হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কী ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা পাচ্ছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল এবং ভাইস প্রিন্সিপালকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছি।"
তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক তথা ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, "ওনার চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনও রকম সমস্যা হবে না। তবে যে ঘটনাটি ঘটেছিল তা অমানবিক। ওনার চিকিৎসা ব্যবস্থায় সবরকম প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।"
মালদা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত বেড না থাকার কারণে এই সমস্যা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই তাঁকে এইচডিওতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন।