Pahalgam Terror Attack: প্রধানমন্ত্রী মোদী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। এরপরই বড়সড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জের। বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের। ভারতে পাকিস্তানি হাই কমিশন বন্ধ থাকবে। পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করা হবে এবং সিন্ধু জল চুক্তিও স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারত পাকিস্তানে অবস্থিত হাইকমিশনে কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ করার কথা ঘোষণা করেছে। কূটনৈতিক স্তরে এটিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় এবং কঠোর সিদ্ধান্ত হিসেবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।
গতকালের হামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিএস) বৈঠকের পর, সরকার চারটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত
ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি একতরফাভাবে বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সরকার বলেছে যে "সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করে এমন প্রতিবেশী দেশের সাথে জল ভাগাভাগি সম্ভব নয়।"
পাকিস্তান হাই কমিশন বন্ধ
দিল্লিতে পাকিস্তানি দূতাবাস বন্ধ থাকবে। পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত এবং কূটনৈতিক কর্মীদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভারত ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল
ভারতে বসবাসকারী সকল পাকিস্তানি নাগরিকের ভিসা তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করা হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে সকল পাকিস্তানি নাগরিককে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত সাময়িকভাবে বন্ধ
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একমাত্র স্থায়ী সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা, আটারি চেকপোস্টটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে।
আজকের বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, লস্কর-ই-তৈবার সহযোগী সংগঠন টিআরএফ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের স্কেচ প্রকাশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে তাদের নাম আসিফ ফৌজি, সুলেমান শাহ, আবু তালহা।NIA সূত্রে খবর, গতকালের হামলার মূল মাসাটার মাইন্ড লস্করের উপ-প্রধান সাইফুল্লাহ খালিদ। তিনি বর্তনামে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) আছেন।
৩৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল কাশ্মীর। আজ সম্পূর্ণরূপে অচল উপত্যকা। সাধারণ মানুষ মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে। দোকানপাট, বেসরকারি স্কুল, কলেজ এবং পেট্রোল পাম্প সবই বন্ধ রয়েছে। মানুষ জাতোয় পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন। এর মাঝেই পাকিস্তানের পতাকা এবং টায়ার পোড়ানো হয়। রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেও দেখা গিয়েছে। এদিকে গতকালের পাহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ফের একবার সুর চড়িয়েছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "ভারত কখনোই সন্ত্রাসবাদের কাছে মাথা নত করবে না। এই জঘন্য হামলার অপরাধীদের কোনও মূল্যেই রেয়াত করাহবে না"।