New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/04/tYWgmi3yMRNSosMDYa4h.jpg)
হুগলি থেকে গ্রেফতার পাক মহিলা, কীভাবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ৪৫ বছর ধরে অবৈধ বসবাস, উঠছে প্রশ্ন
Pak Women Arrested: দীর্ঘদিন ধরে এদেশে থেকেছেন তিনি। একপ্রকার বৈধ নাগরিকত্ব ছাড়াই। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। রাওয়ালপিন্ডি থেকে ভারতে এসেছিলেন, বিয়ে করে উঠেছিলেন চন্দননগরে। সেখান থেকেই গ্রেফতার পাকিস্তানী মহিলা!
হুগলি থেকে গ্রেফতার পাক মহিলা, কীভাবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ৪৫ বছর ধরে অবৈধ বসবাস, উঠছে প্রশ্ন
Pak Women Arrested: দীর্ঘদিন ধরে এদেশে থেকেছেন তিনি। একপ্রকার বৈধ নাগরিকত্ব ছাড়াই। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। রাওয়ালপিন্ডি থেকে ভারতে এসেছিলেন, বিয়ে করে উঠেছিলেন চন্দননগরে। সেখান থেকেই গ্রেফতার পাকিস্তানী মহিলা!
গত ৪৫ বছর ধরে চন্দননগর কুঠিরমাঠ এলাকায় থাকতেন ওই মহিলা। স্বামী-সন্তান নিয়ে ছিল সুখের সংসার। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮০ সালে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে বাবার সঙ্গে ভারতে এসেছিলেন ওই মহিলা। ১৯৮২ সালে চন্দননগরের এক বেকারি মালিক মুজফফর মল্লিকের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তাদের দুই মেয়ে। মেয়েদেরও বিয়ে হয়ে গেছে।পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের খাতায় মহিলা নিখোঁজ ছিলেন ভিসা নিয়ে আসার বছর খানেকের পর থেকেই। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের উপর জঙ্গী হামলার পর ভারত সরকার পাকিস্তানী নাগরিকদের দেশে ফিরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে।
যারা পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে রয়ে গেছেন,তাদের খোঁজ শুরু হয় নতুন করে। চন্দননগরের কুঠির মাঠের পাশে মসজিদের পিছনে মুজফফর মল্লিকের দোতলা বাড়ি।সেই বাড়ি থেকে শনিবার ওই পাকিস্তানি মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এতদিন পর একজনকে পাক নাগরিক হিসাবে গ্রেফতার করায় তার প্রতিবেশীরা অবাক। আইনি জটিলতা কাটিয়ে মহিলার মুক্তি চাইছেন তারা। জানা গিয়েছে মহিলার পাকিস্তানে কেউ নেই, যারা আছে সবাই ভারতে।
মাধ্যমিকে দারুণ ফল, কয়েকঘন্টার মধ্যেই বাড়ির কাছে মেধাবী ছাত্রের নিথর দেহ উদ্ধার, ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী
মহিলার স্বামী ও মেয়েরা জানান, হুগলির নালিকুলে বাড়ি ছিল পূর্বপুরুষদের। সেখানেই মহিলার জন্ম। পরে কাজের সূত্রে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি চলে যান তার বাবা। সেখান থেকেই ১৯৮০ সালে ভারতে আসেন। বর্তমানে ৬০ বছর বয়স হয়ে গেছে মহিলার। নানা ধরনের ওষুধ খেতে হয় তাকে। ডাক্তার দেখানো হয়েছে হাটুতে অস্ত্রোপচার করতে হবে। পরিবারের অনুরোধ তাকে যেন মুক্তি দেওয়া হয়। মহিলার স্বামী জানান,তার স্ত্রী চন্দননগর কর্পোরেশনের বারো নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। তার আধার প্যান কার্ড সব আছে। ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এতদিনেও তা হয়নি। তাঁকে ইতিমধ্যেই আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং জেল হেফাজত হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।