বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম প্রবল ভর্ৎসনা করেছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে। পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য ছিল যে, কমিশনার চাপ নিতে না পারলে ছেড়ে দিন। এরপরই কড়া পদক্ষেপ করেন খোদ রাজ্যপাল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীব সিনহা যোগ দেওয়ার পর তাঁর জয়েনিং রিপোর্ট গ্রহণ করেননি সি ভি আনন্দ বোস। আজ, বৃহস্পতিবার ফের কলকাতা হাইকোর্ট তুমুল অসন্তোষ প্রকাশ করল পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাজ ও কমিশনের ভূমিকার।
ভাঙড়ে ৮১ আইএসএফ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তা নিয়েই মামলা হয়েছে হাইকোর্টে। মামলায় পর্যবেক্ষণ জানাতে গিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহা কমিশনের উদ্দেশে বলেন, 'পঞ্চায়েত ভোট কি হচ্ছে? নির্বাচন কমিশনার পদে কি এখনও তিনি (রাজীব সিনহা) বহাল আছেন? আমি বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে।'
কীভাবে ৮১ আইএসএফ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হল? তা নিয়ে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই কমিশনের জবাব তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- চরম শোরগোল, প্রার্থী রয়েছেন বিদেশে, আর তৃণমূলের হয়ে তাঁর মনোনয়ন জমা পড়েছে বাংলায়!
এর আগে ভাঙড়ে আইএসএফ প্রার্থীরা যাতে মনোনয়ন পেশ করতে পারেন সে জন্য পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ মতো ১৫ জুন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের ৮১ জন আইএসএফ প্রার্থী। স্ক্রুটিনিতেও ওই প্রার্থীদের মনোনয়ন গ্রাহ্য হয়েছিল। কিন্তু ২০ জুন আইএসএফ প্রার্থীরা দেখতে পান কমিশনের ওয়েবসাইটে তাঁদের নাম নেই। ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।
পাল্টা তৃণমূল দাবি করে, ওই আসনগুলিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাদের প্রার্থীরা জিতে গিয়েছে। দু’পক্ষের প্রাথমিক বক্তব্য শুনে এদিনই ফের শুনানির কথা জানিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।