মনোনয়ন পর্বে উত্তপ্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম। স্ক্রুটিনি পর্বেও হিংসা ছড়াল নবাবের জেলায়। এবার ঘটনাস্থল কালিয়াচক। সেখানে তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। নিহত সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জোড়া-ফুলের প্রার্থী হয়েছিলেন। এই 'খুনে'র জন্য কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে মসজিদ থেকে নমাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময় আক্রান্ত হন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মুস্তাফা শেখ। একদল কংগ্রেস কর্মী মাঝ পথে তাঁকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে সুজাপুরের বালুপুর এলাকায়। লাঠি, রড, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছিল। পরে কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে এবারও মুস্তাফা তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন।
এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুস্তাফা শেখকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই ডাক্তারররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতেরএক পুত্রবধূ আখতারী খাতুন বলেছেন, 'আমার শ্বশুর খুব শান্ত স্বভাবের মানুষ। কিন্তু তাকে এলাকার কংগ্রেস কর্মী মান্নান শেখ, আসমাউল সেখের দলবল হেনস্থা করছিল। সেই সময় শ্বশুর তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু অতর্কিতে ওরা শ্বশুরকে রাস্তায় ফেলে চর, কিল, ঘুষি, লাথি মারে। এমনকী বাঁশ দিয়ে পেটায়। তাতেই জখম এবং অচৈতন্য হয়ে পড়েন মোস্তফা শেখ। এরপরই তাঁর মৃত্যু হয়।'
এই নৃশংস খুনের প্রতিবাদে ৩৪ নং জাতীয় সড়কে মৃতদেহ ফেলে রাস্তা অবরোধ করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের দাবি, 'নমাজ পড়ে মসজিদ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মুস্তাফা শেখ। রাস্তায় ঘিরে ধরে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে। দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করা হয়েছে। দুষ্কৃতীরা ২৪ ঘণ্টা আগেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিল। তাদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।'