এবারে দলত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগদান করলেন মালদা জেলা পরিষদের বিদায়ী সদস্যা মমতাজ বেগম, স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং মমতাজ বেগমের স্বামী আমিনুল হক, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ আদিত্য মিশ্র-সহ দুই শতাধিক তৃণমূল কর্মী।
টাকার বিনিময় তৃণমূলের টিকিট বিক্রি হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে নেতারা এই অভিযোগ তুলে দলত্যাগ। যদিও দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, তৃণমূলে থেকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন। এখন টিকিট না পেয়ে দলবদল করছেন। এতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না।
মালদা জেলা পরিষদে মোট আসন ৩৮টি ছিল। এই বছর তা বেড়ে ৪৩টি আসন হয়। আসন বাড়লেও পুরনো কর্মীদের টিকিটে ঠাঁই হয়নি এমনকি রানিং জেলা পরিষদের অনেক সদস্য টিকিট পায়নি। আবার মনোনয়ন প্রত্যাহারর আগের রাত পর্যন্ত দলীয় সিদ্ধান্ত অটুট থাকলেও পরবর্তীতে নাম কেটে দেওয়া হয়। টাকার বিনিময়ে তৃণমুল নেতৃত্ব এবার প্রার্থীদের টিকিট দিয়েছে। এই অভিযোগ তুলে এদিন কংগ্রেসে যোগদান করে জেলা পরিষদ,পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা।
আরও পড়ুন তীব্র ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল কলকাতা হাইকোর্ট
তাঁরা জানান, যাঁরা এই দলে টাকা দিতে পারবে, ঠিকাদার, দুর্নীতিগ্রস্থ তাঁরাই টিকিট পাচ্ছে। তাই এই দল আর করা যায় না। তাই দলত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক মুস্তাক আলম বলেন, মানুষ বুঝেছে তাই দল পরিবর্তন করছে। এতে জেলায় আমাদের শক্তিবৃদ্ধি হল। মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি বলেন, তৃণমূলে থেকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন। এখন টিকিট না পেয়ে দলবদল করছেন। দল বেঁচা মানুষগুলো দল ছেড়ে যাচ্ছেন। এতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না।