পঞ্চায়ের ভোট ঘোষণার আগে এবার কোনও সর্বদল বৈঠক হয়নি। যা নিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। জবাবে নিয়মের বাধ্যবাধকতা নেই বলে দাবি করেছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এরপরই মনোনয়ন ঘিরে তুলকালাম হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের বহু জেলায়। প্রাণ গিয়েছে এক কংগ্রেস কর্মীর। বিরোধীরা সোচ্চার তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করেন রাজ্যপাল। রাজভবনে তলব করা হয় কমিশনারকে। সূত্রের খবর, সেখানেই হিংসা ও ভোটে নিরাপত্তা নিয়ে কমিশনারকে কড়া কথা শুনিয়েছেন সি ভি আনন্দ বোস। এরপরই টনক নড়ল কমিশনের। ভোট ঘোষণা, মনোনয়নের দু'দিনের মাথায় ডাক দেওয়া হল সর্বদল বৈঠকের।
আরও পড়ুন- ‘কালীঘাটের কাকু’র মুখে ফের অভিষেক! ‘সাহেব’কে নিয়ে করলেন বিরাট ভবিষ্যদ্বাণী
রাজ্য নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া খবর অনুসারে আগামী ১৩ জুন পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট হবে। ফলাফল ১১ জুলাই।
আরও পড়ুন- ‘অন্য প্রতীকে জিতলেও সেই বায়রন’, পঞ্চায়েতের আগেই দলবদল নিয়ে বিরাট ইঙ্গিত তৃণমূলের
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নে হিংসা নিয়ে এদিন রাজভবনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে রাজ্যপালের প্রশ্নের মুখে পড়েতে হয়েছিল বলে খবর। রাজ্য পুলিশ দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করার পর্যপ্ত বাহিনী রয়েছে? কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কেন পঞ্চায়েত নির্বাচন করানো হচ্ছে না, রাজীব সিনহার কাছে জানতে চান রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। সূত্রের খবর, রাজ্যপালকে কমিশনার জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে কিনা সেটা ঠিক করবে হাইকোর্ট। বিষয়টি এখন বিচারাধীন। আদালের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করা হবে। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পরই হাইকোর্টে মামলা করেছে কংগ্রেস-বিজেপি। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো ও মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। সেই মামলায় কমিশনের থেকে রিপোর্ট চেয়েছে হাইকোর্ট। এগুলোই রাজ্যপালকে জানিয়েছেন কমিশনার।