Advertisment

এক টুকরো মহিষাদল খাস কলকাতায়, রাজবাড়ির আদলে মণ্ডপ দেশপ্রিয় পার্কে

মহিষাদল রাজবাড়ির আদলে পুজোমণ্ডপ তৈরি হয়েছে কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
pandal has been built in Kolkata Deshpriya Park in the style of Mahishadal Rajbari

মহিষাদল রাজবাড়ির আদলে মণ্ডপসজ্জা দেশপ্রিয় পার্কে। ছবি: কৌশিক দাস।

কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের পুজো মানেই চমক। এর আগে 'বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্গা' গড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার এই পুজো কমিটি। যদিও দর্শনার্থীদের বিপুল ভিড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকায় শেষমেশ প্রতিমা দর্শন সেবার বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। তবে করোনার আঁধার কাটিয়ে এবার তাক লাগানো মণ্ডপ গড়েছে শহরের অন্যতম বড় এই পুজো কমিটি। মহিষাদল রাজবাড়ির আদলে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে দেশপ্রিয় পার্কে। খাস কলকাতায় একট টুকরো মহিষাদল উঠে আসায় যারপরনাই খুশি মহিষাদলবাসী। খুশি মহিষাদল রাজবাড়ির বর্তমান প্রজন্মও।

Advertisment

দেশপ্রিয় পার্ক পুজো কমিটি এবার মহিষাদল রাজবাড়ির আদলে মণ্ডপ গড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন দেশপ্রিয় পার্কের পুজোমণ্ডপের ছবি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। এমনিতেই পূর্ব মেদিনীপুরের এই শতাব্দী প্রাচীন রাজবাড়ি রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে। বছরভর মহিষাদল রাজবাড়িতে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। বহু গুণীজনও বিভিন্ন সময়ে এসেছেন এই রাজবাড়িতে।

publive-image
মহিষাদল রাজবাড়ির আদলে মণ্ডপসজ্জা দেশপ্রিয় পার্কে।

এখনও নিয়ম করে বাংলার পাশাপাশি হিন্দি সিনেমারও শুটিং হয় এখানে। মহিষাদল রাজবাড়ির সংগ্রহশালা, রাজবাড়ির পুজো, রথ দেখার জন্য সারা বছর ধরে এখানে বহু মানুষ আসেন। এমনকী ভিনরাজ্য থেকেও মহিষাদল রাজবাড়ি ঘুরে দেখার স্বাদ নিতে ঢল নামে পর্যটকদের। এবার সেই রাজবাড়িই কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের পুজোর থিমে উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন- প্রিয়াঙ্কাকে নিয়োগের সময় বেঁধে দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, বাড়ির কাছেই পাবেন চাকরি

দেশপ্রিয় পার্কের পুজোর থিমে মহিষাদল রাজবাড়িকে তুলে ধরায় বেশ খুশি রাজবাড়ির বর্তমান প্রজন্মের সদস্য হরপ্রসাদ গর্গ। তিনি বলেন, ''আমাদের কাছে এটি বড় প্রাপ্তি। আমরা মহিষাদল রাজবাড়ির পুজোতেই থাকছি। ছেলে-বউমারা যাবেন মণ্ডপ দেখতে। পুজো দেখার পাস পেয়েছি। আমাদের বাড়ি এবার বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা হচ্ছে, তা দেখে খুব ভালো লাগছে।''

অন্যদিকে, প্রাক্তন অধ্যাপক তথা মহিষাদলের বাসিন্দা হরিপদ মাইতি বলেন, ''মহিষাদলবাসী হিসেবে গর্ব হচ্ছে। দেশপ্রিয় পার্ক প্রতি বছর তাঁদের মণ্ডপের থিমে চমক রাখে। লক্ষ-লক্ষ দর্শনার্থীর সামনে মহিষাদল রাজবাড়িকে তুলে ধরা হচ্ছে। এটা আমাদের কাছে বড় প্রাপ্তি।''

স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক সুমন সাঁতরা বলেন, ''মেয়েকে নিয়ে কলকাতায় গিয়েছিলাম। দেশপ্রিয় পার্কের মণ্ডপ দেখেই বুঝতে পেরেছি। আমাদের রাজবাড়ির ছবি দেখে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেছি। মহিষাদলবাসী হিসেবে আমরা ভীষণ খুশি।''

Durgapuja kolkata
Advertisment