আগুনে পুড়ে গেল পাঁশকুড়া থানা। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী থাকলেন থানার কর্মী থেকে আশপাশের দোকানের বিক্রেতা ও কর্মীরা। থানা সূত্রে খবর, এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া বাজি ও বাজি তৈরির মশলা, বারুদ থানার সামনেই জমা রাখা হয়েছিল। সেই জমানো বারুদেই আচমকা আগুন ধরে যায়।
Advertisment
আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুততার সঙ্গে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আচমকা এই অগ্নিকাণ্ডে হকচকিয়ে যান কর্তব্যরত পুলিশকর্মী ও থানায় নানা অভিযোগ এবং খোঁজখবর নিতে আসা লোকজন। আগুন লাগার পরই প্রাথমিকভাবে কর্তব্যরত পুলিশকর্মী এবং আশপাশের লোকজন জল ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান।
খবর দেওয়া হয় দমকলে। তমলুক থেকে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। চলে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ। তার মধ্যেই আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। অন্যান্য পুলিশকর্মীরা গাড়িতে চাপিয়ে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান।
কিন্তু, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাঁচানো যায়নি। তার আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম গোপাল মান্না। বাড়ি, পাঁশকুড়া থানার হাউরে এলাকায়।
প্রাথমিক তদন্তে দমকলকর্মীদের অনুমান, আগুন নেভানোর মত উপযুক্ত পরিকাঠামো পাঁশকুড়া থানার ছিল না। উপযুক্ত পোশাক এবং সরঞ্জামও ছিল না। তার মধ্যেই থানার কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে, মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের শরীরের কোথাও পুড়ে যায়নি। তিনি ধোঁয়ার দমবন্ধকর অবস্থা এবং ঘটনা পরম্পরায় উদ্বেগ সহ্য করতে না-পেরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এমনই মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশকর্মীরা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন ওই বাজিগুলো জমিয়ে রাখা হয়েছিল, এতদিনেও তা নিষ্ক্রিয় করা হয়নি, জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।