চার বছরের আয়ুষ তখন ভাত খাচ্ছিল। ২ বছরের প্রিয়াঙ্কা ঘুমোচ্ছিল ঘরে। হঠাৎই আয়ুষের চোখ যায় ওপর দিকে। এক দিকে ঝুলছে মায়ের দেহ, অন্যদিকে বাবার। এই মর্মান্তিক ঘটনায় চমকে উঠেছে সোনারপুরের বৈষ্ণবপাড়া।
শুক্রবার বিকেলে দুটি বাচ্চার চিৎকার শুনে দৌড়ে আসেন প্রতিবেশীরা। বন্ধ দরজা র তালা ভাঙা হয়। ভাঙা হয় টিনের চালের ছাদও। দুজনকেই নিয়ে যাওয়া হয় সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাপস নাইয়া (৩৪) ও প্রিয়াঙ্কা নাইয়া (২৯)-কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন, মেলায় বেআইনি মদের ফোয়ারা, আমাদের খবরের জেরে ধ্বংস ১৫ হাজার লিটার
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, কসবা সিআইটি বাজারে মাছের দোকান রয়েছে তাপস নাইয়ার। গৃহবধূ স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে তাঁর নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত। ব্যবসা এবং মায়ের অসুস্থতার কারণে বাজারে বেশ কিছু ঋণ হয়ে গিয়েছিল তাপসের। ঋণভারে জর্জরিত হওয়ার কারণেই ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত বলে অনুমান। সংসারে টাকা পয়সা দেওয়া নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বচসা চলত প্রায়ই। এই অশান্তির জেরেই ওই দুজন আত্মহত্যা করেছেন কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বছর ছয়েক আগে তাপস ও প্রিয়াঙ্কার বিয়ে হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত ৩ বছর ধরে তাঁরা একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলে দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। অশান্তি বেড়ে উঠলে বাধা দিতে আসেন তাঁরা। কিন্তু বাইরের লোকের পারিবারিক বিষয়ে মাথা গলানো নিয়ে দুজনেই আপত্তি জানালে চলে যান প্রতিবেশীরা। এর কিছুক্ষণ পরেই আয়ুষের চিৎকার শুনে জড়ো হন এলাকার মানুষ।
দুজনে একসঙ্গে আত্মঘাতী হয়েছেন, নাকি বিষয়টি অন্যকিছু তা ময়নাতদন্তের আগে স্পষ্ট নয়।