এসএসসি-তে তাঁর মেয়ের নিয়োগ ঘিরেই দুর্নীতির অভিযোগ। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে আজ রাত ৮টার মধ্যে কলকাতার সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশও করা হয়েছে। অস্বস্তিতে শাসক দল তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পরেশবাবু।
মন্ত্রী পরেশ অধিকারী এখন কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে। মন্ত্রী কন্যা ও খোদ পরেশ বাবুর বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের তদন্তের নির্দেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি কিছুই জানি না। আপনাদের কাছ থেকেই জানলাম।' এই কথা বলার সময় পরেশবাবুর মুখে বাসি লেগে ছিল।উত্তরবঙ্গে
আজ রাত ৮টার মধ্যে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে তাঁর মেয়ের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। যদিও ওই সময়ের মধ্যে মন্ত্রী কলকাতায় ফিরতে পারবেন না। কারণ বর্তমানে তিনি রয়েছেন কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে। কিন্তু, সন্ধ্যা তিনি মেয়ে অঙ্কিতা নিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে চলে আসেন। সেখান থেকেই কলকাতাগামী ট্রেনে উঠবেন।
সিবিআই দফতর সূত্রে খবর, পরেশবাবুকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। মন্ত্রী নিজেও সিবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেননি। বিচারপতি শুনানিতে জানিয়েছেন যে পরেশ অধিকারীর মেয়ের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রয়েছে প্রভাবশালী হাত। যদিও এই তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছেন খোদ মন্ত্রী। তাঁরকথায়, 'যখন এই ঘটনা ঘটেছে তখন আমি মন্ত্রী ছিলাম না।'
অভিযোগ, কোর্টের নির্দেশে কোচবিহারে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগের জন্য এসএসসি তালিকা প্রকাশ করেছিল। তফসিলি জাতিভুক্তদের জন্য মেধা তালিকার ওয়েটিং লিস্টে প্রথম স্থানে নাম ছিল ববিতা বর্মনের। ববিতা বর্মনের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল লোপামুদ্রা মণ্ডল ও ছায়া রায়ের নাম। অথচ পরবর্তীতে এসএসসি-র ওয়েবসাইটে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত আসনের ওয়েট লিস্টে দেখা যায় ববিতার নাম চলে গিয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম স্থানে রয়েছে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম। এছাড়া, চাকরি প্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ের সময়েও অঙ্কিতাকে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। এরপরই ২০১৮ সালে আদালতে মামলা করেন ববিতা। প্রায় চার বছর পর সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হল।