ওদের ডানা মেলে ওড়ার কথা ছিল। কিন্তু, পাচারকারীদের রক্তচক্ষুতে এখন খাঁচাবন্দি হয়ে করুণ অবস্থা। যদিও শেষ রক্ষা হল না। সিআইডি, ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল বোর্ড ও বন দফতরের যৌথ প্রচেষ্টায় জালে মোস্ট ওয়ানটেড দুই পাচারকারী। ধৃত ৪। উদ্ধার করা হয়েছে খাঁচাবন্দি টিয়াগুলোকে।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মাইথনের কাছাকাছি ডুবুরডিহি চেকপোস্ট থেকে প্রায় হাজারটি বিভিন্ন প্রজাতির টিয়া উদ্ধার করে দুর্গাপুরের বনদফর। এই পাখি পাচার চক্রের খবর ছিল আগেই বনদফতরের কাছে। সিআইডির টিম, ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল বোর্ডের টিম এবং দুর্গাপুরের বনদফতরের যৌথ টিম যৌথভাবে এই অভিযান চালায়।
বন্য পাখি পাচা হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে এই খবর ছিলই। সেই সূত্রেই চলে অভিযান। বিহার থেকে কলকাতাগামী আসানসোলের সিং ট্রাভেলসের একটি বাসকে ধাওয়া করা হয়। সেখান থেকেই খাঁচাবন্দি প্রায় হাজার টিয়া উদ্ধার হয়।
ধৃতদের আজ দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। ধৃতদের মধ্যে দুজন এই চক্রের মূল পান্ডা এদেরকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল দুর্গাপুরের বনদফতর। অবশেষে সাফল্য মিলল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন