নতুন বছরের শুরুতেই কলকাতার বউবাজারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। শুক্রবার সকালে আচমকা বউবাজার মার্কেটের একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ এই ঘটনায় তুমুল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। প্রাচীন এই মার্কেটের কংক্রিটের চাঙর ভেঙে পড়ায় ঘোর আতঙ্কে ক্রেতা-বিক্রেতারা।
বহু পুরনো কলকতার বউবাজারের মার্কেট। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফি দিন এখানে ভিড় জমান বহু মানুষ। এই মার্কেটের নীচ থেকেই চলে অহরহ যাতায়াত। শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ বউবাজার মার্কেটের একাংশের চাঙর ভেঙে পড়ে। অন্য দিনগুলিতে সাতসকালে মার্কেটের নীচের এই অংশ দিয়ে মানুষের যাতায়াত লেগেই থাকে। তবে এদিন মার্কেটের এই অংশ যখন ভেঙে পড়ে তখন সেই এলাকা কার্যত ফাঁকাই ছিল। স্বাভাবিক কারণেই বিরাট বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে। কংক্রিটের বড় বড় চাঙর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়লেও দুর্ঘটনার জেরে কেউ আহত হননি।
আরও পড়ুন- ‘তৃণমূলের আমলে প্রতিটি স্তরে কাটমানি-সংস্কৃতি’, জলপাইগুড়ি-কাণ্ডে সুর চড়ালেন মালব্য
নতুন বছরের শুরুতেই বউবাজারে ফের বিপত্তি। এদিন সকালে ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের কর্মীরাও পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে। শুরু হয় মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ভেঙে ফেলার কাজ। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখে চলে এই কাজ।
এদিন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে বলেন, 'পুরসভার পক্ষ থেকে মার্কেটের বিপজ্জনক অংশ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ডিজি বিল্ডিংয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। মার্কেটের বিপজ্জনক অংশ ভাঙার কাজও শুরু হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে এলাকার ব্যবসায়ীদের যাতে কম ক্ষতি হয় সেটা নজরে রাখা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন- বন্দে ভারতে পাথর নিক্ষেপ, তৃণমূলকে দুষেও শেষমেশ ঢোক গিললেন দিলীপ!
শুক্রবার সকালে বউবাজার মার্কেটের একাংশ ভেঙে পড়ে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাই রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অবিলম্বে মার্কেটের বিপজ্জনক অংশ মেরামতের দাবি তোলেন কেউ কেউ। প্রতিদিন ওই এলাকা দিয়ে বহু মানুষের যাতায়াত। সেই কারণেই অত্যন্ত অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই বউবাজার মার্কেটের বিপজ্জনক অংশ দ্রুত সংস্কারের দাবি তোলা হয়েছে। তবে এদিন ঘটনার পরেই এলাকায় পৌঁছে যান পুরসভার কর্মীরা। দ্রুত শুরু হয় মার্কেটের বিপজ্জনক অংশ ভেঙে ফেলার কাজ।