এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ইডির জালে যুব তৃণমূলের দুই নেতা কুন্তল ও শান্তনু। জেলে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রমোটার অয়ন শীলও। এঁদের সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টপাধ্যায়ের সম্পর্ক রয়েছে বলে শুরু থেকে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একই দাবি এদিন ইডি-র তরফে আদালতে তুলে ধরা হয়। যা অবশ্য মানেননি তৃণমূলের অপসারিত মহাসচিব পার্থ। উল্টে ইডি-র তদন্তের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সূত্রের খবর, আদালতের অন্দরেই ঘনিষ্ঠদের পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ইডি কলকাতায় কাউকে খুঁজে পাচ্ছে না। চুঁচুড়া থেকে ধরে আনছে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে গত ফেব্রুয়ারিতে গ্রেফতার করেছে ইডি। তার আগে তাঁকে একাধিকবার জেলা করা হয়। সেই সময়ই তাপস মণ্ডল যুব তৃমূলের সাধারণ সম্পাদক কুন্তল ঘোষের নাম বলেছিলেন। সেই সূত্রে কুন্তলের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। উদ্ধার হয় বেশ কিছু নথি। তারপরই কুন্তলকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে কুন্তলকে দফায় দফায় জেরায় যুব তৃণমূলের সহসভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ওঠে। আপাতত শান্তনুও ইডির জালে।
আরও পড়ুন- অভিষেকের সুর কুন্তলের গলায়! ‘এজেন্সির চাপ’ বাড়ানোর খেলা
তদন্ত এগোতে আরও চমক ছিল। এসএসসির চাকরি বিক্রির দায়ে শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রমোটার অয়ন শীলকে গ্রেফতার করে ইডি। শুধু এসএসসির চাকরি নয়, রাজ্যব্যাপী ৬০টি পুরসভায় গ্রেুপ-সি চাকরিতে নিয়োগেও চরম দুর্নীতির মাথা অয়নই ছিলেন বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তাঁর সল্টলেকের ভাড়া বাড়িতে ম্যারাথন অভিযান চালিয়ে বহু নথি ও সম্পত্তির হদিশ মেলে। ইডির ধারণা অয়নের চাকরি দুর্নীতি টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল, শান্তনু ও অয়ন শীলদের সঙ্গে যোগের কথা খারিজ করে দিয়েছেন পার্থ। উল্টে ঘনিষ্ঠ মহলে- কলকাতায় কাউকে খুঁজে পাচ্ছে না, চুঁচুড়া থেকে ধরে আনছে, মন্তব্যের মাধ্যমে অনেক জল্পনাও বাড়ালেন তৃণমূলের বহিষ্কত নেতা।