scorecardresearch

তাঁর কাছে কী ‘আবদার’ করেছিলেন সুজন-দিলীপ-শুভেন্দুরা?, ‘তথ্যে’ তোলপাড় ফেললেন পার্থ!

আদালতে ঢোকার মুখে এবার পার্থের মুখে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের নাম।

partha chatterjee criticizes Sujan Dilip Suvendu
এবার পার্থের মুখে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের নাম।

আদালতে ঢোকার মুখে এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের নাম। পুরোপুরি বিষয়টি খোলসা না করলেও এই তিন নেতাই পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর কাছে কোনও বিষয় নিয়ে একাধিকবার তদ্বির করেছিলেন বলে দাবি পার্থের। তবে তিন নেতার আর্জিতে কান পাতেননি জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, এমনই দাবি তাঁর।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে এবার বিরোধী দলের তিন শীর্ষ নেতার নাম উঠে এল। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর পাশাপাশি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিরেধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও এদিন নিশানা করেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন অপসারিত মহাসচিব পার্ত চট্টোপাধ্যায়।

ঠিক কী বলেছেন পার্থ?

‘যে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপবাবু, শুভেন্দুবাবুরা বড় বড় কথা বলছেন, তাঁরা নিজের দিকে দেখুন। উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন? ২০০৯-১০ সালের সিএজি রিপোর্ট পড়ুন। সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছেন যেহেতু আমি বলেছি আমি করতে পারব না, আমি নিয়োগকর্তা নই। এব্যাপারে সাহায্য তো দূরের কথা, আমি কোনও কাজ বেআইনি করতে পারব না। শুভেন্দু অধিকারীর ১১-১২ সালটা দেখুন না।’

আরও পড়ুন- চোখ কপালে তোলার মতো ‘দুর্নীতি’ পুরসভাগুলিতেও? কেন্দ্রকে বিস্ফোরক চিঠি সুকান্তর

এদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এমন মারাত্মক অভিযোগ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘উনি আমার নামও নিয়েছেন। উনি ১০-১১ সালের কথা বলছেন। তখন তো আমি রাজনীতিতেই ছিলাম না। পার্থবাবুর সঙ্গে আমার পরিয় ২০১৬ সালে। দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে জেলে যাব। জেলে থাকছেন মাথাটা ঠিক নেই। উনি প্রলাপ বকছেন, এটা চক্রান্ত মনে হচ্ছে। বাকিদের জড়ানোর চেষ্টা চলছে। এটা করে বাঁচতে পারবেন না।’

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী এদিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘২০০৯-১০ সালে নাকি সুপারিশ করা হয়েছে বলছে। তখন তো ওঁরা সরকারে ছিল না। দিলীপ-শুভেন্দুদের কখা বলতে পারব না। শুভেন্দু তখন তৃণমূলে ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন বাম আমলে নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করবেন। উনি করতে পারবেন না। করলে ধরা পড়ে যাবেন। বাম আমলে নিয়োগ মানে স্বচ্ছতা। তৃণমূল আমলে নিয়োগ মানে টাকার খেলা। ধরা পড়ে গেছেন বলে উল্টো পাল্টা কথা বলছেন। এসব কথা বলে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারেন।’

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Westbengal news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Partha chatterjee criticizes sujan dilip suvendu