গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রিত। ডায়াবেটিসের কারণে ডায়াবেটিক ডায়েটে রয়েছেন। কিন্তু ইডি হেফাজতে থেকেই কখনও ভাত-খাসির মাংস খাওয়ার আবদার করেই চলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার জেলে গিয়েও বায়না কমাননি পার্থ। খবর নিয়ে জেনেছিলেন, প্রেসিডেন্সি জেলের ক্যান্টিনে আলুর চপ-বেগুনি ভাজা হচ্ছে। আর তার পরই বায়না ধরেন তেলেভাজা খাওয়ার।
সোমবার জেলের ক্যান্টিনে তেলেভাজা হচ্ছে শুনেই বায়না ধরেন পার্থ। তার পর প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ প্রাক্তন মন্ত্রীর আবদার মেনে নেয়। মাঝেমধ্যেই খাওয়ার নিয়ে আবদার করছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থর কারণে প্রেসিডেন্সি জেল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। জেল সূত্রে খবর, সকালে চা-বাটার টোস্ট খান পার্থ। দুপুরে ভাত-ডাল-তরকারি। সোমবার বিকেলে জেলের পদস্থ কর্তারা পার্থর সেল পরিদর্শনে যান। তখন প্রাক্তন মন্ত্রী তাঁদের জানান, তিনি তেলেভাজা খেতে চান।
জেলের চিকিৎসকদের তাতে আপত্তি ছিল। কিন্তু পার্থ সেই আপত্তি না শুনে তেলেভাজা খাওয়ার গোঁ ধরে বসে থাকেন। কারণ, তিনি আগেই খবর পেয়েছেন, গরম গরম আলুর চপ আর বেগুনি হচ্ছে ক্যান্টিনে। পার্থর গোঁ দেখে শেষ পর্যন্ত অনুমতি দেন চিকিৎসকরা। তাও সামান্য পরিমাণে। সূত্রের খবর, দুটি করে আলুর চপ-বেগুনি এবং অল্প মুড়ি দেওয়া হয় পার্থকে।
আরও পড়ুন ‘হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই’, অনুব্রতর ‘আবদারে’ সায় দিল না SSKM
জেলের ক্যান্টিন থেকে নিজের টাকায় খাবার কিনে খেতে পারেন বিচারাধীন বন্দিরা। যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের খাবারের ক্ষেত্রে ডাক্তারদের বারণ আছে। তাঁদের বলে দেওয়া ডায়েট চার্ট অনুযায়ী খাবার দেওয়া হয় পার্থকে। কিন্তু ডাক্তারদের মতে, এক-আধদিন তেলেভাজা খাওয়া যেতে পারে। তাতে শরীরের খুব একটা সমস্যা হবে না।
এদিকে, জেলে বাড়তি কোনও সুবিধা নিতে চান না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজের সেলে বই পড়েই অধিকাংশ সময় কাটাচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। তবে জেলে থাকাকালীন তাঁর পা ফোলা ও কোমরে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবুও জেলে থেকেই যাবতীয় চিকিৎসা করাতে চান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেল কর্তৃপক্ষকেও নাকি সেকথা জানিয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব।