ভুবনেশ্বর এইমসের চিকিৎসকরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য নেবুলাইজার এবং স্লিপ কার্ট ম্যাট্রেসের সুপারিশ করেছিলেন। সেইমতো মঙ্গলবার রাতেই পার্থর বাড়ি থেকে নেবুলাইজার এবং এই বিশেষ ম্যাট্রেস নিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। রাতে ওই ম্যাট্রেসেই ঘুমোন পার্থ। রাতে মন্ত্রীকে নেবুলাইজার দেওয়া হয় বলে ইডি সূত্রে খবর।
Advertisment
প্রসঙ্গত, সোমবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি নিতে চাননি এইমসের চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়ে দেন, তেমন সিরিয়াস কিছু সমস্যা নেই মন্ত্রীর। বরং ক্রনিক সমস্যার জন্য ওষুধ খেলেই চলবে। মঙ্গলবার ভোরে তাঁকে কলকাতায় উড়িয়ে আনেন ইডি-র আধিকারিকরা। তার পর নিয়ে আসেন সিজিও কমপ্লেক্সে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে ইডি-র আধিকারিক পার্থবাবুর আইনজীবীকে ফোন করে নেবুলাইজার এবং স্লিপ কার্ট ম্যাট্রেস চেয়ে পাঠান। ওই বিশেষ ম্যাট্রেসেই রাতে ঘুমোন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাতেই সেগুলি পৌঁছে দেওয়া হয় মন্ত্রীর আইনজীবীর তরফে। আদালতের নির্দেশে, ৪৮ ঘণ্টা পর পার্থর মেডিক্যাল টেস্ট করার কথা। সেই অনুযায়ী, এদিন সকালে পার্থ এবং অর্পিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে তাঁদের পরীক্ষা হয়।
উল্লেখ্য, সিজিও কমপ্লেক্সের সাত তলায় একটি কনফারেন্স রুম রয়েছে ইডি-র। সেখানেই অস্থায়ী ভাবে তিনটি লকআপ বানানো হয়েছে। তার একটিতে রাখা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেখানে একটি খাট, এবং সিলিং ফ্যান রয়েছে। কোনও অ্যাটাচ টয়লেট নেই। শৌচাগারে যেতে হলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওজন ১১১ কেজি। তার উপর তাঁর ডায়াবেটিস, প্রেশার এবং থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে। তাই এখানে ডায়াবেটিক ডায়েট দেওয়া হয়েছে তাঁকে।