স্ত্রী ও মায়ারে মৃত্যুর পর তাঁর জন্মদিন পালনে বদল এসেছিল। তবে যথারীতি ভেসেছিলেন শুভেচ্ছার বন্যায়। বাড়িতে নয়, কেক কাটা পর্ব হয়েছিল দলীয় দফতরে। আর এবার তো তার কোনও সুযোগই নেই। আজ, ৬ অক্টোবর রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা অপসারিত তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন। ৭১ বছরে পা দিলেন এই রাজনীতিবিদ। বর্তমানে কারাবন্দি তিনি। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বৃহস্পতিবার নিঃসঙ্গ হয়েই জন্মদিনটি কাটিয়েছেন পার্থ।
অতীতে এই দিনে পার্থর নাকতলার বাড়িতে সকাল থেকেই হইচই চলত। বাড়ির ড্রয়িং রুম থেকে রাস্তা পর্যন্ত ভিড় জমাতেন দলের কর্মী,সমর্থক, অনুগামী, শুভানুধ্যায়ীরা। কোনও সময় শারদোৎসবের তিথিতে তাঁর জন্মদিন পড়লে, সেই সময় নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজো উদ্যোক্তারা তা ঘটা করে পালন করতেন। নতুন পাঞ্জাবি পরে পুজোর মঞ্চে হাজির হতেন মন্ত্রী। একবার তাঁর জন্য আনা হয়েছিল ফিটন গাড়ি। কিন্তু, এ বছর সেইসব উধাও।
গত বছর মাতৃবিয়োগের কারণে নিজে থেকে সবাইকে বাড়িতে জন্মদিনের আয়োজন করতে বারণ করেছিলেন। বেহালার পার্টি অফিসেই ধুমধাম করে হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন পালন। ছিল অফুরান শুভেচ্ছা বার্তা। সেই অনুষ্ঠানেছিলেন পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ও। বর্তমানে পার্থর সঙ্গে তিনিও জেলে।
এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২২ জুলাইতাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। পরে তাঁকে হেফাজতে পায় সিবিআই। বর্তমানে জেলবন্দি পার্থ। ফলে উৎসবের মরসুমে এবার জেলেই কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি।
কারামুক্ত হতে এর আগে একাধিকবার শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে জামিন চেয়েছেন পার্থবাবু। যা নাকচ হয়েছে। কান্নাকাটিতেই লাভ হয়নি। শেষ শুনানিতে আদালতের কাছে জামিনের আবেদন করেননি এসএসসি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তাই জন্মদিনেও তাঁর ঠিকানা জেল। দেখার যে কবে তিনি জামিন পান।