Advertisment

২৩ মার্চ জামিনের শুনানি, আদালতে বলতে চান পার্থ, যেতে চান বেহালায়

২০০১ থেকে বেহালা পশ্চিমে জিতছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
PARTHA_CHATTERJEE

ছবি- পার্থ পাল

আগামী ২৩ মার্চ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি। ওই দিন তিনি পাঁচ মিনিট সময় চেয়েছেন বিচারপতির কাছে। আদালতকে কিছু বলতে চান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেটা যাতে বলতে পারেন, সেই জন্য তিনি ওই সময় চেয়েছেন। এর আগেও রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী আদালতকে জানিয়েছিলেন, তাঁর অনেক কিছু বলার আছে। তিনি সেসব বলতেও চান। কিন্তু, আদালতে বলার সুযোগই পাচ্ছেন না।

Advertisment

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পর থেকেই তাঁকে নিয়ে জনমানসে কৌতুহলের অন্ত নেই। এমনকী, জেলে তিনি কীভাবে থাকছেন, সহবন্দিরা তাঁর সঙ্গে কেমন আচরণ করছে, সেসব নিয়েও রাজ্যবাসী যথেষ্ট কৌতুহলী। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে ২৩ মার্চ পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পেলে কোথায় যাবেন? বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে আদালতে আসার পর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে এই প্রশ্ন করেছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। জানতে চেয়েছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মহাসচিব কি তাঁর নাকতলার বাড়িতে ফিরবেন?

জবাবে পার্থবাবু জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে যেতে চান নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বেহালা পশ্চিমে। বর্তমানে তিনি তৃণমূল মহাসচিব নন। তিনি রাজ্যের মন্ত্রীও নন। তবে, এখনও তিনি বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আর তাই নিজের এলাকার বাসিন্দাদের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই জামিন পেলে নিজের এলাকায় যেতে চান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রেই বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে ৫১ হাজার ভোটে পরাজিত করেছিলেন তৃণমূলের তৎকালীন মহাসচিব।

আরও পড়ুন- উদ্ধব সরকারের পতন: আদালতের নজরে রাজ্যপালের আস্থাভোটের নির্দেশ, তীব্র সমালোচনা

গত জুলাই মাসের ২৩ তারিখ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের গোয়েন্দারা। তারপর প্রায় বছর ঘুরতে চলল, জেলেই রয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব। অসুস্থ হলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে। নিরাপত্তার কথা ভেবে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই হাজির করানো হচ্ছে আদালতে। নিজের নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে সেই হিসেবে প্রায় তার যোগাযোগই নেই। ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসও তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে। তারপরও পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি আস্থাশীল। বৃহস্পতিবারও ঘনিষ্ঠদের তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূলে ছিলেন, আছেন, থাকবেন।

partha chatterjee bail Jail
Advertisment