তবে কি পার্থকে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা তৃণমূল সুপ্রিমোর? উত্তরটা স্পষ্ট না হলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনের অন্যতম কঠিন দিনেও তিনি পাশে পেলেন না তাঁর দলনেত্রীকে। নিজেই জানালেন সেকথা। আজ সকালে গ্রেফতার করার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আনা হয়েছিল জোকার ইএসআই হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায় ইডি। হাসপাতাল থেকে বেরনোর পথে সাংবাদিকদের পার্থবাবু বলেন, ''নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম, তাঁকে পাইনি।'
Advertisment
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। গতকাল সকালে তাঁর নাকতলার বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেই থেকে একটানা একদিনের বেশি সময় ধরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দফায়-দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির আধিকারিকরা। ইডির বহু প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন পার্থ। শেষমেশ তাঁকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেন ইডির আধিকারিকরা। অন্যদিকে, পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও আটক করেছে ইডি।
পার্থের বাড়িতে ইডির হানার পরপরই ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, দল গোটা ঘটনাক্রমের উপর নজর রাখছে। সঠিক সময়ে দল এব্যাপারে তার মতামত জানাবে বলেও জানিয়েছেন কুণাল। তবে আজ সকালে গ্রেফতারের পর শুরু থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি পার্থ। নাকতলার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতারের পর কার্যত চরকিপাক খাইয়ে তাঁকে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যায় ইডি। সেখানেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়।
হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম, তাঁকে পাইনি।'' তবে কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা শুরু করে দিল তৃণমূল। এখনও পর্যন্ত কিন্তু পার্থ গ্রেফতারি নিয়ে দলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। দলের মহাসচিব গ্রেফতারের পরেও আশ্চর্যজনকভাবে মুখে কুলুপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায় থেকে শুরু করে ফিরহাদ হাকিম-সহ দলের শীর্ষ নেতাদের।