Partha Chatterjee's office demolished: মন্ত্রিত্ব-দলীয় পদ আগেই গিয়েছিল। বিধানসভায় খাতায়কলমে বিধায়ক রয়ে গিয়েছেন জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার সেই বিধায়ক হিসাবে শেষ চিহ্নও মুছে গেল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। বেহালায় ফুটপাত দখল করে থাকা পার্থর অফিস বৃহস্পতিবার ভাঙা পড়ল। বেহালার ম্যান্টনে সেই অফিস ভাঙা হয়েছে কার্যত ফুটপাত দখলমুক্ত করতেই।
কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুটপাত দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন নবান্ন থেকে। তার পর থেকেই তৎপর পুলিশ-প্রশাসন। অনেকদিন ধরেই অভিযোগ ছিল, রাস্তা দখল করে বেহালা পশ্চিমের বিধায়কের কার্যালয় তথা পার্টি অফিস তৈরি করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই ফুটপাত-রাস্তা দখলমুক্ত করার অভিযানে নেমেছে পুলিশ-প্রশাসন। তার মধ্যেই ভাঙা পড়ল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অফিস।
ওই পার্টি অফিসে নিয়মিত বসতেন বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক। সেখানে সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শুনতেন। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সেই অফিস নিয়ে বিস্তর অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। ২০২২ সালে ২৩ জুলাই পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে পার্টি অফিসটি। এবার স্মৃতি থেকেও মুছে গেল সেটি।
আরও পড়ুন TMC MLA’s oath taking ceremony: জটিলতা সপ্তমে! দুই বিধায়কের শপথ জটে ত্রাতার ভুমিকায় ধনখড়? তুঙ্গে চর্চা
এই ইস্যুতে শাসক-বিরোধী তরজা শুরু হয়েছে। বেহালার সিপিএম নেতা কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের অভিযোগে চাপে পড়ে তাতেই প্রশাসন ভাঙতে বাধ্য হয়েছে। পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেনের দাবি, 'এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। দল, রং না দেখে ব্যবস্থা নেয়। তৃণমূল কোনও অন্যায়কে সমর্থন করে না।'