এবার আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেন নিয়োগ দুর্নীতি মমালায় গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে শুনানিতে সোচ্চার তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব। পার্থের এই দাবি শুনে পাল্টা তাঁকেই তেড়েফুঁড়ে দুষলেন কুণাল। এরই পাশাপাশি ভার্চুয়াল শুনানিতে এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার ভার্চুয়াল শুনানিতে জেল থেকেই হাজিরা দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। শুনানির শুরুতেই বিচারক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কথা জিজ্ঞাসা করেন। উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলতে শুরু করেন, ''আমি খুব অসুস্থ। আমি জানি আমি নির্দোষ। এজেন্সি দিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমার সামাজিক সম্মান নষ্ট হচ্ছে।" এরই পাশাপাশি জেলে তাঁর উপযুক্ত চিকিৎসা হচ্ছে না বলেও এদিন অভিযোগ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও এদিন ভার্চুয়ালি শুনাতিতে হাজির ছিলেন। এদিন বিচারকের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্পিতা। পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা এদিন বলেন, ''আমি রাজনীতিবিদ নই, চক্রান্তের শিকার। টর্চার করা হচ্ছে।''
আরও পড়ুন- শারীরিক সম্পর্কের ‘টোপ’ দিয়ে প্রেমিককে ফোন গৃহবধূর, যুবক যেতেই গ্রেফতার
এদিকে, ভরা আদালতে ফের একবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করায় তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন তাঁরই এক সময়ের সহকর্মী তথা বর্তমানে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি এদিন বলেন, ''পার্থ চট্টোপাধ্যায় নাটক করছেন। আমি যখন জেলে ছিলাম তখন এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই আমায় বলেছিলেন আমি নাকি পাগল। ওর নাম আমার সামনে করবেন না।''
পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমে বলেন, "এত টাকা কী করে জোগাড় করলেন সেটাই তো ব্যাখ্যা করতে পারছেন না উনি। চূড়ান্ত ভণ্ডামিরও একটা সীমা আছে। ওর মাথা তো গেছেই, ওর মাথার ওপর যে মাথা আছে, তারা ধরা পড়লেও এই একই কথা বলবেন। দুর্নীতি করে করে রাজ্যটাকে শেষ করে দিয়েছে।''
আরও পড়ুন- ‘ভাগ্যিস বুলেটপ্রুফ গাড়িতে ছিল অভিষেক, নইলে বেঁচে ফিরত না’, ভয়ঙ্কর ‘তথ্য ফাঁস’ মমতার
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ''সারা বাংলার একটাও মানুষ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগকে স্বীকৃতি দেবে না। মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছেন। এখন তো বাংলার আইকন হয়ে গেছেন উনি। ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ হয়েছে। তার উচিত শাস্তি সময়মতো পাবেন। লঘু কষ্ট ছাড়া এখন কিছুই পাচ্ছেন না।''