scorecardresearch

কুণালের টুইটের পরেই পার্থর নিশানায় সুজন-শুভেন্দু-দিলীপ, ‘কেস গটআপ’? প্রশ্ন বিরোধীদের

এবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিরোধী দলের তিন নেতার নাম জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যয়ের মুখে।

partha targets sujan suvendu dilip after a few minutes of kunal's tweet
কুণালের টুইটের পরপরই পার্থর গলায় কার্যত একই সুর।

সকাল ১১.৪২ মিনিটে টুইট তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। বেলা ১২টার পরে টুইটে করা সেই নামগুলি ধরে-ধরে ভয়ঙ্কর অভিযোগ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। পার্থর বক্তব্য আর কুণালের টুইটের মধ্যে ‘সংযোগ সূত্র’ নিয়ে জেরাদার চর্চা রাজ্য রাজনীতিতে। বৃহস্পতিবার আদালতে ঢোকার মুখে নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে পার্থর মুখে শোনা যায় সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষদের নাম। দুর্নীতি ইস্যুতে এই তিন নেতার নাম করে তারই মাত্র কিছুক্ষণ আগে টইট করেছিলেন কুণাল ঘোষ।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১.৪২ মিনিটে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুমাল ঘোষ নিয়োগ দুর্নীতিতে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী ও শমীক ভট্টাচার্যের যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। টুইটে এদিন কুণাল ঘোষ লিখেছিন, ‘শিক্ষায় নিয়োগ-বিতর্ক। দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য ও আরও কয়েকজন চাকরির সুপারিশ করেছিলেন কি? তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করেছিলেন কি? তদন্ত হোক। কেন্দ্রীয় এজেন্সি একমুখী কাজ না করে নিরপেক্ষ কাজ করুক।’

কুণাল ঘোষের এই টুইটের ঠিক পরে-পরেই আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে ঢোকার মুখে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিরোধী তিন নেতার নাম তুলে কার্যত শোরগেল ফেলে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সুজন-দিলীপ-শুভেন্দুকে নিশানা করে বলেন, ‘যে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপবাবু, শুভেন্দুবাবুরা বড় বড় কথা বলছেন, তাঁরা নিজের দিকে দেখুন। উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন? ২০০৯-১০ সালের সিএজি রিপোর্ট পড়ুন। সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছেন যেহেতু আমি বলেছি আমি করতে পারব না, আমি নিয়োগকর্তা নই। এব্যাপারে সাহায্য তো দূরের কথা, আমি কোনও কাজ বেআইনি করতে পারব না। শুভেন্দু অধিকারীর ১১-১২ সালটা দেখুন না।’

আরও পড়ুন- তাঁর কাছে কী ‘আবদার’ করেছিলেন সুজন-দিলীপ-শুভেন্দুরা?, ‘তথ্যে’ তোলপাড় ফেললেন পার্থ!

এদিকে, তাঁর টুইট আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে এদিন সংবাদমাধ্যমে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোনও অভিযোগ করেছেন। তিনি যেগুলো দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারীদের নামে বললেন সেগুলো তদন্তের আওতায় আসা জরুরি। প্রত্যেককে হেফাজতে নিয়ে পার্থবাবুর সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা দরকার। প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের দলিল কেন পাওয়া যায়? গতকাল বিকেলেও তো একই প্রশ্ন আমি প্রেস কনফারেন্সে করেছিলাম। সকালে আবার টুইট করেছি। সাংবাদিকরা পার্থবাবুকে কী প্রশ্ন করেছেন সেটা আমার জানার কথা নয়। আমরা যেটার তদন্ত চাই সেটাই টুইট করেছি।’

আরও পড়ুন- চোখ কপালে তোলার মতো ‘দুর্নীতি’ পুরসভাগুলিতেও? কেন্দ্রকে বিস্ফোরক চিঠি সুকান্তর

এদিকে, কুণাল ঘোষের টুইটের পরপরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে তাঁর নাম উঠে আসার পিছনে চক্রান্ত দেখছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রামাণ হলে তিনি জেলে যেতেও প্রস্তুত বলে এদিন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Westbengal news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Partha targets sujan suvendu dilip after a few minutes of kunals tweet