গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনার সাক্ষী রইল শনিবারের শহর কলকাতা। একটানা প্রায় ঘণ্টা আড়াই কলকাতার নামী হাসপাতালের কার্নিশে বসেছিলেন স্নায়ুরোগী। তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করলেও সফল হল না কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন। প্রায় ঘণ্টা আড়াই পর আটতলার কর্নিশ থেকে পা ফসকে সটান নীচে পড়ে গেলেন যুবক। খণ্ড-খণ্ড হয়ে গেল তাঁর পা, মাথা ফেটে চৌচির। রুদ্ধশ্বাস ঘটনায় চোখ কপালে ওঠার জোগাড় উপস্থিত প্রত্যেকের।
ফের কাঠগড়ায় কলকাতার নামী হাসপাতাল। রোগীর দেখভালের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ মল্লিকবাজারের ইন্সটিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সের বিরুদ্ধে। স্নায়ুরোগে আক্রান্ত ওই যুবককে গত বুধবারই মল্লিকবাজারের এই নামী হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিজনেরা। শনিবার সকালে আচমকাই হাসপাতলের ঘর থেকে বেরিয়ে কার্নিশে উঠে পড়েন ওই ব্যক্তি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থূল পড়ে যায় গোটা হাসপাতাল চত্বরে।
ততক্ষণে রোগীর আটতলার কার্নিশে চড়ে ওঠার দৃশ্য দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন পথচলতি অনেকেই। হাসপাতালের কর্মীরা তাঁকে বুঝিয়ে নামানোর চেষ্টা শুরু করেন। কিন্তু কোনও কথাতেই কর্ণপাত করতে রাজি ছিলেন না ওই যুবক। খবর দেওয়া হয় পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে তাঁরাও ওই রোগীকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেন।
আরও পড়ুন- ‘১৯ বছর শিবের মতো বিষ-পান, নীরবে সয়েছেন যন্ত্রণা’, গুজরাত দাঙ্গা ইস্যুতে মোদীর পাশেই শাহ
ওই রোগীকে বুঝিয়ে নামানোর চেষ্টা হয়। তবে আটতলার কার্নিশে বসেই কিছু একটা বলার চেষ্টা করছিলেন যুবক। তবে তিনি ঠিক কী বলতে চাইছিলেন তা স্পষ্ট হয়নি। এরপর হঠাৎই পা ফসকে আটতলার উপর থেকে সটান নীচে আছড়ে পড়েন ওই যুবক। মাঝে কয়েকটি কার্নিশে ধাক্কা খেয়ে সটান তিনি মাটিতে আছড়ে এসে পড়েন।
গা শিউরে ওঠার মতো গটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন উপস্থিত প্রত্যেকে। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল মাটি। যুবকের পা খণ্ড-খণ্ড হয়ে গিয়েছিল। মাথা ফেটে চৌচির হয়ে যায়। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁর পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, ওই রোগী কীভাবে হাসপাতাল কর্মীদের নজর এড়িয়ে সটান কার্নিসে উঠে পড়লেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরু্দ্ধে রোগীর দেখভালের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। ওই হাসপাতালের কয়েরকটি জানলায় গ্রিল ছিল না বলেও দাবি করেছেন কেউ-কেউ। কয়েক ঘণ্টা ধরে ওই রোগী কার্নিশে চড়ে বসলেও নীচে কেন জাল পাতার বন্দোবস্ত হল না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।