PC by Rajya Sabha MP Samik Bhattacharya: এরাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের ফল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে ঢলতেই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের আশঙ্কা প্রকাশ করতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতারা। বসিরহাটের প্রার্থী রেখা পাত্রকে মঙ্গলবার গণনা চলাকালীন ধাওয়া করার অভিযোগ উঠে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগও ওঠে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার গণনার পর রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার পুরোনো পরিসংখ্যান তুলে ধরেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। সল্টলেকে দলের রাজ্য অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, '২০২১ সালে রাজ্য ভোটপরবর্তী হিংসা হয়েছিল। আমাদের ২৭ দিন ৫৬ জন কর্মী খুন হয়ে গিয়েছিল। কয়েক হাজার মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। আজও বহু মানুষ ভিনরাজ্যে বসবাস করছেন।'
এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদী-অমিত শাহর মত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলায় ভালো ফলাফলের দাবি করেছিলেন। মঙ্গলবার কার্যত তার উলটো ফল হওয়ার পরও রাজ্য বিজেপির বক্তব্য, 'আমরা ভালো ফল করতে পারিনি। এই ফল আশাপ্রদ নয়। কিন্তু, (প্রেস্টিজ ফাইট) পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি আসনেই বিজেপি জয়ী হয়েছে। ঠাকুরবাড়ির দরজায় গিয়ে শান্তনু ঠাকুরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছিল। সেই বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরও জয়ী হয়েছেন। রানাঘাটেও বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।'
বিজেপি সাংসদ তথা দলের রাজ্য মুখপাত্রের অভিযোগ, 'সিপিএমের থেকেই ভোটপরবর্তী সন্ত্রাসের আমদানি করেছে তৃণমূল। সেই সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। প্রান্তিক মহিলা রেখা পাত্রকে তাড়া করে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সিআইএসএফ জওয়ানদের ধন্যবাদ, গুলি চালানোর মত পরিস্থিতি তৈরি হলেও, নিজেরা আক্রান্ত হলেও তাঁরা সংযম দেখিয়েছেন। যাতে আবার শীতলকুচির মত ঘটনা ঘটে না যায়।'
আরও পড়ুন- ‘ভীষণ উদ্ধত’! হারানোর পরও অধীরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ মমতার, ফাঁস করলেন জয়ের রহস্য
রাজ্য বিজেপির অভিযোগ, 'তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনের আগে পুলিশকে ব্যবহার করে ভীতি প্রদর্শন করেছে। সনাতনী হিন্দু ভোটাররা বহু জায়গায় ভোট দিতে বেরোতে পারেননি। আমরা চরম বিপরীত রাজনৈতিক অবস্থানের মধ্যে দিয়ে রাজনীতি করেছি। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ করেছেন। ২০২১ সালের পরও আমরা শতাধিক কর্মীকে হারিয়েছি।' তারপরও তৃণমূলের হাত থেকে বাংলাকে মুক্ত করার লড়াই চলবে বলেই তিনি জানান।