Advertisment

রাজ্যে দু’ফায় বাকি পুরসভায় ভোট গ্রহণ, হাইকোর্টকে সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানাল কমিশন

Civic Polls 2022: বৃহস্পতিবারের মধ্যেই ভোট নির্ঘণ্ট জানাতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এই ১১১টি পুরসভার মধ্যে ৫টি পুরনিগম আর ১০৬টি পুরসভা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
108 municipalities election in Bengal date declared updates

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতর। ফাইল ছবি

Civic Polls 2022: রাজ্যের ঝুলে থাকা বাকি পুরসভায় দু’দফায় ভোট করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টকে পুরভোট মামলায় এই তথ্য দিয়েছে কমিশন। মেয়াদ পেরোলেও রাজ্যের ১১২টি পুরসভার ভোটগ্রহণ ঝুলে ছিল। তার মধ্যে কলকাতা পুরসভায় ১৯ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর ফল ঘোষণায় এবারেও পুরবোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। নতুন মেয়র নির্বাচিত হলেন ফিরহাদ হাকিম। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষকে নিয়ে পুরপারিষদ ১৩। এই আবহে রাজ্যের ঝুলে থাকা ১১১টি পুরসভায় ভোট কবে? তার ইঙ্গিত এদিন পাওয়া গেল হাইকোর্টের শুনানিতে। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই ভোট নির্ঘণ্ট জানাতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এই ১১১টি পুরসভার মধ্যে ৫টি পুরনিগম আর ১০৬টি পুরসভা।   

Advertisment

জানা গিয়েছে কমিশন হলফনামায় জানিয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দুই দফায় বাকি নির্বাচনগুলো সম্পন্ন করবে। প্রথম দফায় ৫টি পুরনিগমে ভোট করাতে চায় ২২ জানুয়ারি আর শেষ দফায় ১০৬টি পুরসভায় ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট করানোর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম দফায় যে ৫টি পুরনিগমে ভোট গ্রহণ করতে পারে কমিশন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—হাওড়া, শিলিগুড়ি, চন্দননগর, বিধাননগর, আসানসোল। আর পড়ে থাকা পুরসভাগুলোয় ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের সম্ভাবনা। এমনটাই হাইকোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।  

এদিকে, বৃহস্পতিবার নব নির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলরদের নিয়ে মহারাষ্ট্র ভবনে বৈঠক করেন দলের নেত্রী। উপস্থিত অভিষেক বন্দোপাধ্যায়- সহ ১৩৪ ওয়ার্ডে জয়ী প্রার্থীরা। এই অনুষ্ঠানে নতুন পুর বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয় মালা রায়। পুরসভার নতুন দলীয় নেতা ফিরহাদ হাকিম। এই নাম ঘোষণা করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। ধ্বনি ভোটে পাস হয় সেই প্রস্তাব। উপস্থিত ছিলেন দলনেত্রীও। মেয়র ইন কাউন্সিল ১৩ জন। ডেপুটি মেয়র: অতীন ঘোষ, দেবাশীষ কুমার, দেবব্রত মজুমদার, তারক সিং, স্বপন সমাদ্দার, আমিরুদ্দিন ববি, মিতালী বন্দোপাধ্যায়, রাম পেয়ারে রাম, জীবন সাহা, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়।

 এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এতো শান্তিপূর্ণ ভোট আগে কখনও হয়নি। অনেক কুৎসার পর মানুষ আমাদের ভরসা রেখেছে। তৃণমূলের সঙ্গে মাটির যোগ। যত জিতবো, তত মাটির সঙ্গে যোগ বাড়বে। তৃণমূল কংগ্রেসে অহংকারের কোনও জায়গা নেই। একুশের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী এনেও আমাদের ১৬ জন মারা গিয়েছিল। উল্টে দোষ পড়ে আমাদের ঘাড়ে।’

আবেগী মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘আজ আমি সুব্রত দাকে মিস করছি। একসময় দু’জনে মিলে কাউন্সিলরদের পাহারা দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূলের নব নির্বাচিত কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিরোধী কাউন্সিলরদের স্বাগত জানাই। যে ১০ জন আমাদের প্রার্থী হেরেছেন, তাঁদের পুরসভার বিভিন্ন কাজে লাগাতে হবে। ৪০ জন নতুন কাউন্সিলরকে ভালো করে কাজ শিখতে হবে। সবাইকে জায়গা দিতে পারব না। তবে কথা কম, কাজ বেশি। নতুন করে কর্মযজ্ঞ শুরুর সময় হয়েছে। ৩ জন নির্দল প্রার্থীকে দলে যোগ দিতে চাইলে এখনই তাঁদের সুযোগ দেওয়ার দরকার নেই। অপেক্ষা করতে হবে। পার্টিকে সাবটেজ করে জিতলে আমি বলবো গেট ইট নট ইজি।’

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Calcutta High Court civic poll State Election Commission
Advertisment