কলকাতার পথে বাংলাদেশিদের ঢল, ইদের কেনাকাটা সারতে মহানগরীই পছন্দ

বেনাপোল থেকে কলকাতার দূরত্ব ৮৪ কিলোমিটার।

বেনাপোল থেকে কলকাতার দূরত্ব ৮৪ কিলোমিটার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
BENAPOLE CHECK POST

বেনাপোল সীমান্তে বাংলাদেশিদের ভিড়।

জিনিসপত্র সস্তা, টেকসই আর মেলে হাজারো রকম পণ্য। বাসিন্দাদের ভাষাও প্রায় এক। অনেকের আবার আত্মীয়ও থাকেন। ইদের কেনাকাটার জন্য কলকাতা তাই বরাবরই বাংলাদেশিদের পছন্দ। মুসলমান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ইদ-উল ফিতর ও ইদ-উল আজহা। এই সময়গুলোয় কলকাতার পথে প্রতিবছরই বাংলাদেশিরা হাঁটা দেন। এবারও ব্যতিক্রম ঘটেনি।

Advertisment

বেনাপোল বাংলাদেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর। এখানকার আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট থেকে শহর কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। যাতায়াতের খরচ অল্প। অল্প সময়ে তাই কলকাতায় পৌঁছে যাওয়া যায় বেনাপোল সীমান্ত থেকে। বৃহস্পতিবার ইদ। ইতিমধ্যে সেই কারণে কলকাতায় আসার জন্য বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।

বাংলাদেশ অভিবাসন দফতরের হিসেব অনুযায়ী, গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ৩,০০০ থেকে ৩,৫০০ নাগরিক পাসপোর্ট-সহ বেনাপোল বন্দর দিয়ে কলকাতায় যাতায়াত করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে সংখ্যাটা ৭,০০০-এ পৌঁছে গিয়েছে। অন্যবারের কথা মাথায় রাখলে ইদের ছুটিতে এই দৈনিক যাতায়াতের সংখ্যাটা ৯,০০০ থেকে ১০,০০০ ছাড়িয়ে যাবে বলেই বাংলাদেশের স্থলবন্দর কর্তারা মনে করছেন। শুধুমাত্র ১৯ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত এক সপ্তাহে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে পাসপোর্ট-সহ ৪৫ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে যাতায়াত করেছেন। যাতে বাংলাদেশ সরকারের ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।

ভিড়ের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকার বেনাপোলের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ডেস্কের সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে। আগে সংখ্যাটা ছিল ১৬। সেটাই বাড়িয়ে ৩২ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, যাতায়াতের সময় যাত্রীরা যাতে কষ্ট কম পান, সেজন্য চেকপোস্ট ভবনের মধ্যে ফ্যানের সংখ্যাও পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি আহসান হাবিব।

Advertisment

আরও পড়ুন- বিরোধীদের শেখাতে হবে না, চাইলে চাণক্য নীতি থেকেও শিখতে পারে রাজ্য সরকার

তবে যাত্রীদের অভিযোগ, বাংলাদেশ সীমান্তে পাসপোর্ট চেকিংয়ের কাজ তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হলেও ভারতীয় চেকপোস্টে গিয়ে তাঁদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। কারণ, পেট্রোপোলে ইমিগ্রেশনের কাজ চলে অত্যন্ত ধীর গতিতে। তার ফলে, দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাংলাদেশের নাগরিকদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

(তথ্যসূত্র ও ছবি সৌজন্য- এনবি নিউজ বাংলা২৪.কম)

eid Market Muslim