কলকাতার কাছেই অসাধারণ এক পর্যটনকেন্দ্র। সপ্তাহান্তে এর চেয়ে ভালো বেড়ানোর জায়গার হদিশ পাওয়াই দুষ্কর। যে কোনও মরশুমেই এই স্থান একেবারে সুপারহিট! দিন যত যাচ্ছে পর্যটকদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে হাওড়ার শ্যামপুরের গাদিয়াড়া। ঝটিকা সফরে তিন নদীর সঙ্গমস্থলে থাকা হাওড়ার এই প্রান্ত এলাকা ঘুরে যান। এলাকার অসাধারণ সৌন্দর্য্য চিরজীবন স্মৃতির পাতায় থেকে যাবে।
ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করে না এমন বাঙালির হদিশ মেলা ভার! অনেকেই কাছেপিঠে বেড়ানেরা জায়গার খোঁজ করেন। দিন কয়েক হাতে নিয়ে অনেকেই ভিড় জমান দিঘা, মন্দারমণি কিংবা তাজপুরে। কেউ কেউ ছুটে যান বকখালি কিংবা মৌসুনী দ্বীপেও। এবার তবে পাড়ি জমান গাদিয়াড়ায়। তিন নদীর সঙ্গমস্থলের মনোরম পরিবেশ মন ভরিয়ে তুলবে। ভাগীরথী, রূপনারায়ণ ও হলদি নদীর এই সঙ্গমস্থলে রয়েছে গাদিয়াড়া। এখানকার নিরিবিলি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য সত্যিই অবাক করার মতো। নদীপাড়ের শান্ত পরিবেশে রকামারি গাছপালা ও পাখিদের কলরব পর্যটকদের দিন দিন আরও বেশি আকর্ষণ করছে।
গাদিয়াড়ায় কী দেখবেন?
তিন নদীর সঙ্গমস্থল গাদিয়াড়া বরাবরই পর্যটকদের আকর্ষণ করে। গাদিয়াড়ার একদিকে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের গেঁওখালি এবং দক্ষিণ দিক বরাবর রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নূরপুর ও রায়চক। গাদিয়াড়া থেকে চাইলে নদী পেরিয়ে ঘুরে আসতে পারেন মহিষাদল রাজবাড়িও। এছাড়াও এখান থেকে জলপথে আরও কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্র থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।
আরও পড়ুন- নির্জন সমুদ্রে লাল কাঁকড়ার সমাহার, এতল্লাট কলকাতার খুব কাছেই
কীভাবে যাবেন গাদিয়াড়ায়?
কলকাতা থেকে গাদিয়াড়ার দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। কলকাতার দিক থেকে সড়কপথে গেলে হাওড়া হয়ে গাদিয়াড়ায় পৌঁছনো যাবে। এছাড়াও ধর্মতলা থেকে গাদিয়াড়া যাওয়ার বাসও পেয়ে যাবেন। জলপথে কলকাতা থেকে নূরপূর হয়ে গাদিয়াড়া জেটিঘাটে পৌঁছে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুন- স্নিগ্ধ শীতল সাগরতটে মন হারাবেই হারাবে! কলকাতার খুব কাছের এই সমুদ্রপাড়ে অনাবিল আনন্দ
কোথায় থাকবেন?
গাদিয়াড়ায় নদী সংলগ্ন এলাকায় একাধিক বেসরকারি হোটেল রয়েছে। এছাড়াও এখানে পশ্চিমবঙ্গ উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের লজও রয়েছে। হোটেল বা লজে এসি ও নন এসি ঘর রয়েছে। এক্ষেত্রে হোটেল ভাড়াও নাগালের মধ্যেই। আগে থেকে বুকিং করেও যেতে পারেন, অথবা গাদিয়াড়ায় পৌঁছেও হোটেলের খোঁজ করতে পারেন। তবে বেড়ানোর পিক সিজনে গেলে আগে থেকে হোটেল বা লজ বুক করে যাওয়াই ভালো।