করোনার দৈনিক সংক্রমণ কমলেও এখনই বিধিনিষেধ উঠছে না। আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে বাড়ল বিধি-নিষেধের সময়সীমা। নবান্নে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যের উপস্থিতিতে ঘোষণা করলেন মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী।
তবে, বিভিন্নক্ষেত্রে প্রভূত ছাড় দেওয়া হয়েছে। ১৬ জুন থেকে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি অফিস খুলবে। ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়েই খোলা হবে বেসরকারি অফিসও। বেসরকারি অফিস সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
নবান্নে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, সকাল ৭টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত দোকান-বাজার খোলা থাকবে। গত একমাসের আত্মনিয়নন্ত্রণের সময়ও একই সময় বাজার খোলা থাকছিলো। ১৬ তারিখ থেকে সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অন্যান্য দোকান খোলা সম্ভব। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা হচ্ছে রেস্তরাঁ, হোটেল, বার।
২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে খোলা যাবে শপিং মল। সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে শপিং মল। ৩০ শতাংশের মানুষ একসঙ্গে শপিং মলে যেতে পারবেন না। সর্বক্ষেত্রেই কঠোরভাবে মানতে হবে করোনা বিধি। হোটেল, রেস্তোরাঁ বা শপিং মলে কর্মরত প্রত্যেকের যেন টিকাকরণ হয়, সে দিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
লোকাল ট্রেন, মেট্রো বা গণপরিবহণ চলাচলে ছাড় দেয়নি রাজ্য। স্কুল-কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ থাকছে। স্টেডিয়ামে খেলা হলেও দর্শক থাকতে পারবেন না। শুটিং ইউনিটে ৫০ জন সদস্য হাজির থাকতে পারবেন। প্রত্যেকের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হতে হবে। প্রাতঃভ্রমণের জন্য সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত পার্ক খোলা থাকবে। কিন্তু টিকার দু'টো ডোজ সম্পূর্ণ হলে তবেই ঢোকা যাবে পার্কে। বিয়েতে সর্বাধিক ৫০ জন হাজির থাকতে পারবেন। শেষকৃত্যে ২০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। বন্ধ থাকছে সামাজিক-রাজনৈতিক-দর্মীয় সহ সবধরণের জমায়েত। আগের মতোই ব্যাংক ১০টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত খোলা থাকবে।
কাজের প্রয়োজনে যাঁদের প্রত্যেকদিন বেরোতে হচ্ছে তাঁদের জন্য নতুন একটি অ্যাপের মাধ্যমে-পাসের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য প্রশাশন। এছাড়া আগের মতোই রাত ৯টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত যানবাহন ও মানুষের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা থাকছে। তবে অতি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যে গাড়ি বা খুব জরুরি প্রয়োজনে কোনও ব্যক্তির রাস্তায় চলাচলে ছাড় থাকছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন