হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ড: মমতার বক্তব্য 'নজর ঘোরানোর চেষ্টা', স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণের আর্জি হাইকোর্টে

হাঁসখালি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়ান 'অনভিপ্রেত' ও 'নজর ঘোরানোর' চেষ্টা বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এই মর্মেই কোর্টে আবেদন করা হয়েছে।

হাঁসখালি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়ান 'অনভিপ্রেত' ও 'নজর ঘোরানোর' চেষ্টা বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এই মর্মেই কোর্টে আবেদন করা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
within 3 months wb govt have to pa DA to the employyes, ordered by calcutta highcourt

কলকাতা হাইকোর্ট।

হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে সমালোচনার ঝর বইছে। তার মাঝেই এই ঘটনায় সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে হুলুস্থূল পরিস্থিতি। হাঁসখালি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়ান 'অনভিপ্রেত' ও 'নজর ঘোরানোর' চেষ্টা বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এবার হাঁসাখলি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানালেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোরপাধ্যায়।

Advertisment

জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে হাঁসখালি নিয়ে মামলার আর্জি জানানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার বিবেচনা করেছেন বিচারপতি শ্রীবাস্তব।

ইতিমধ্যেই হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। মামলাটির দ্রুত শুনানির জন্য আর্জিও জানানো হয়েছে। আজ এই মামলার শুনানি প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

নদিয়ার হাঁসখালি এক নম্বর ব্লকের গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামনগর এলাকায় নাবালিকা প্রেমিকাকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, অত্যধিক রক্তপাতে ওই নাবালিকার মৃত্যুও হয় বলে দাবি তাঁর পরিবারের। এমনকি রাতারাতি ওই নাবালিকার দেহ জোর করে দাহ করানোর অভিযোগও উঠেছে ওই তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। গত সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে । তবে তা প্রকাশ্যে এসেছে গেল শনিবার। তদন্তে নেমেই পুলিশ গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সমর গয়ালির ছেলে ব্রজগোপালকে গ্রেফতার করে।

Advertisment

এই ঘটনায় শোরগোল পড়তেই সোমবার মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, 'মেয়েটি মারা গিয়েছে ৫ তারিখ। অভিযোগ দায়ের হয়েছে ১০ তারিখে। কেন আগে অভিযোগ দায়ের করলেন না। কেন বডিটা পুড়িয়ে দিলেন। আমি সবটা না জেনেই বলছি- আসলে রেপ হয়েছে, না প্রেগন্ট্যান্ট ছিল, নাকি অন্য কোনও কারণ ছিল, নাকি কেউ ধরে ধরে চড় মেরেছে, বা শরীরটা খারাপ হয়েছে? লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল, ইজ ইটস ট্রু? বাড়ির লোকেরা তা জানত, পাড়ার লোকেরাও তো জানত।'

Hanskhali Rape Calcutta High Court Mamata Banerjee