Advertisment

সংক্রমণের ভয়, তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের চাপে ফের বন্ধ পেট্রাপোল স্থল বন্দর

লকডাউনে এক মাসের উপর কাজ বন্ধ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার ভারত-বাংলাদেশ স্থলবন্দর পেট্রাপোলে কাজ শুরু হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

লকডাউনে এক মাসের উপর কাজ বন্ধ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার ভারত-বাংলাদেশ স্থলবন্দর পেট্রাপোলে কাজ শুরু হয়। তবে, তা দীর্ঘস্থায়ী হল না। চার দিনের মাথায় ফের কাজ বন্ধ হয়ে গেল। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়াতে পারে এই আশঙ্কার তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের চাপেই কাজ বন্ধ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisment

পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান,'জিরো পয়েন্টে পণ্য খালাস করা হচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতে হচ্ছে। ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়রাও বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে তাই বন্দর খোলা রাখা অসম্ভব।' তাঁর কথায়, 'কেন্দ্রীয় নির্দেশ ও রফতানিকারীদের আর্জি মেনে ২৯ এপ্রিল স্থল বন্দর খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।'

আরও পড়ুন- সরকার চাইলেও লকডউনে ঘুরবে না বাসের চাকা

গত শুক্রবার তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক ইউনিয়ান বন্দর পুনরায় বন্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। বেশ কিছুক্ষণ ঘেরাও থাকতে হয় বন্ধরের আধিকারিকদের। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।

উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা ও জেলা পরিষদের সদস্য গোপাল শেঠ বলেন, 'বাংলাদেশে বহু মানুষ সংক্রমিত। কিন্তু, বনগাঁতে সেই অর্থে করোনা থাবা বসায়নি। ফলে ওদেসের কর্মীদের সংস্পর্শে এসে এপারের লোকেরা সংক্রমিত হয়ে পড়লে বিপদের শেষ থাকবে না। তাই লকডাউনের শেষেই ফের আমদানী-রফতানির কাজ চালু হওয়া উচিত। এরপরও বন্দর খোলার কথা বললে বিক্ষোভ হবে।'

বনগাঁ ট্রাক লোডিং-আনলোডিং শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সবাপতি অমিত বোসও কেন্দ্রের বন্দর খোলার সিদ্ধান্তকে 'একতরফা' বলে প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেন, '২২ মার্চ থেকে কাজ বন্ধ। এতদিন শ্রমিকরা কি খেল তার খোঁজখবরের প্রয়োজন বোধ করেনি কেন্দ্র। কারোর সঙ্গে কথা না বলেই বন্দর খোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে হল।'

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Lockdown tmc
Advertisment