PhD scholar Death: আইসারের এক গবেষক মেধাবী ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক গবেষকের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ এনে আত্মঘাতী হয়েছেন এই ছাত্র। তিনি তাঁর পোস্টে আত্মহত্যার সমস্ত কারণ সবিস্তারে লিখে গিয়েছেন। তাঁর নাম অনমিত্র রায় (২৬)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে।
বর্তমানে তিনি থাকতেন কল্যাণীর আইসারের কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে।
শনিবার দুপুরে তাঁর ময়নাতদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মেধাবী অনমিত্র রায় অটিজমে আক্রান্ত ছিলেন। গত তিন বছর ধরে অনমিত্র পিএইচডি করছিলেন। অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার ল্যাবে ছিলেন অনমিত্র। ল্যাব ফাঁকা হয়ে গেলে সেই সুযোগে সেখানে বসে ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। একইসঙ্গে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। এই পোস্ট দেখে সতীর্থরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেয়। কিছুটা সময়ের মধ্যে ল্যাবরেটরি থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এরপর আইসার কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাকে কল্যাণী এইমসে ভর্তি করে। খবর পেয়ে ছুটে আসে তাঁর পরিবারের লোকজন। শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর আগে অনমিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক পোস্ট করেছে। সিনিয়রদের বিরুদ্ধে র্যাগিং, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছে। একইসঙ্গে বাবা-মায়ের কাছেই শারীরিক ও মানসিক হেনস্তার শিকার হয়েছেন তাও উল্লেখ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে তিনি লিখেছেন, বায়োলজি বিভাগের ল্যাবরেটরির এক সিনিয়র পিএইচডি গবেষকের হাতে তাঁকে বারবার র্যগিংয়ের শিকার হতে হয়েছে। এনিয়ে ল্যাবের সুপারভাইজারকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। এমনকী, প্রতিষ্ঠানের অ্যান্টি র্যাগিং সেলে অভিযোগ জানিয়ে কোন লাভ হয়নি। উল্টে বারবার তাঁর দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। অভিযুক্ত গবেষক ছাত্রের পিএইচডি বাতিলেরও দাবি করেছেন অনমিত্র।
তিনি আরও লিখেছেন, ছোট থেকে তিনি নিজের বাবা-মায়ের কাছেই শারীরিক ও মানসিক হেনস্থার শিকার হয়েছেন। এই মৃত্যু নিয়ে আইসারের কর্তারা সেভাবে কিছু বলতে চায়নি। একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। বিষয়টি খতিয়ে দেখার সঙ্গে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তাদের এই প্রেস বিবৃতিতে।