নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে নাম না করে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার রাতে পাল্টা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরি বিক্রির রেট কার্ড নিয়ে নাম না করে তৃণমূলকে বিঁধেছেন মোদী। তার জবাবও পেয়ে গেলেন মঙ্গলবার রাতেই।
কোনও কিছু বলার বা প্রচারের আগে তার জন্য সঠিক প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অভিষেক। মঙ্গলবার কেন্দ্রের রোজগার মেলায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান তিনি বলেন, "সম্প্রতি আপনারা একটি রাজ্য থেকে পাওয়া খবরে দেখেছেন, কীভাবে ক্যাশ ফর জবের ঘটনা ঘটেছে। যুবসমাজকে ধ্বংস করা হচ্ছে। রেস্তরাঁর মতো সরকারি চাকরির সব নিয়োগে রেট কার্ড রয়েছে।"
এখানেই থামেননি মোদী। তিনি আরও বলেছেন, "পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি চাকরির নামে এ ভাবেই লুঠ করছে যুবসমাজকে।" তিনি বাংলার নাম সরাসরি না বললেও রাজনৈতিক মহলের মতে তিনি বাংলাকেই নিশানা করেছেন। শুধু সরকার নয়, শাসকদল তৃণমূলকেও আক্রমণ শানিয়েছেন বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
আরও পড়ুন কংগ্রেস-বিজেপির একসুরেই জয়, পঞ্চায়েত নির্বাচন ইস্যুতে বিরোধীদের অভিযোগে কান পাতল আদালত
এরপরই রাতে টুইট করে জবাব দিয়েছেন অভিষেক। সেই টুইটে ৩০ জন বিজেপি নেতার ছবি দিয়ে নাম প্রকাশ করেছেন তিনি। মোদীর পরিবারতন্ত্র মন্তব্যের পাল্টা এই টুইটে তিনি দেখিয়েছেন বর্তমান বিজেপি নেতারা করে কোন পদে রয়েছেন। আর তাঁদের পরিবারের লোকজন কে কোন পদে রয়েছেন বা ছিলেন। এর পর অভিষেক লিখেছেন, "শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রী, মাঝেমধ্যে নিজেরই নিজের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যেটা বলছেন আগে সেটা নিজে শুধরান।"
এদিন প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সাংসদ সৌগত রায় এ প্রসঙ্গে বলেছেন, "মোদী কতটা নীচে নামতে পারেন, তা আমরা দেখলাম। মোদীর কাছে জানতে চাই, ওঁর ঘনিষ্ঠ আদানিরা কটা চাকরি দিয়েছেন।"