বাংলার বকেয়া পাওনার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠক চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বেঁধে দিয়েছিলেন দিন। সাক্ষাতের জন্য ডিসেম্বরের ১৮, ১৯, ২০ তারিখ নমোর সময় চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষমেশ সাড়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী। মমতার নির্ধারিত তিনটি দিনের একটিতেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
জানা গিয়েছে, আগামী ২০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় সংসদ ভবনে সাক্ষাৎ হবে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দিল্লি সফরকালে 'ইন্ডিয়া' জোটের বৈঠক রয়েছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর সেই বৈঠক হবে। তার পরদিনই প্রধানমন্ত্রী বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে আলোচনার জন্য সাক্ষাতের সময় দিয়েছেন।
রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা সহ বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্র বাংলার প্রাপ্য ১ লক্ষ ১৮ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। এই প্রাপ্য টাকার মধ্যে ১০০ দিনের কাজের টাকা হিসাবে বকেয়া রয়েছে সাত হাজার কোটি টাকা। এছাড়া, আবাস যোজনা খাতেও রাজ্যের বকেয়া ৮,২০০ কোটি টাকা। তার উপর এবার জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন খাতেও কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করেছে বলে দাবি করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের বকেয়া আদায়ে এর আগে তিনবার মমতা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেও লাভের লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকী চিটিতেও কাজ হয়নি। তাই এবার দিল্লি সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার বকেয়া আদায়ে রয়েছে তৃণমূলের নানা কর্মসূচি। যার নেতৃত্বে থাকবেন খোদ দলনেত্রী। এসবের মধ্যেই বকেয়া নিয়ে কথা বলতে ফের প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্ধারিত তিনটি দিনের মধ্যে শেষ দিনে সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
আরও পড়ুন- দুরন্ত ছন্দে শীত! এসপ্তাহেই হুড়মুড়িয়ে পারদ পতন? শীতের মারকাটারি আপডেট জানুন
দিল্লি রাজ্যের বকেয়া টাকা বন্ধ করে রাখার কারণেই যে বিভিন্ন পরিষেবা ও কাজে ব্যঘাত ঘটছে সেটা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে পুজোর আগে দিল্লি ও কলকাতায় ধর্না কর্মসূচি হয়েছে অভিষেকের নেতৃত্বে। এবার সেই আন্দোলনের পুরোভাগে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী। লোকসভার আগে ফের পুরনো মেজাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়কে দেখা যায় কিনা সেদিকে নজর সকলের। অন্যদিকে এবারের মোদী-মমতা বৈঠকের নির্যাস কী হতে চলেছে তাও দেখার।