Advertisment

রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মোদী-মমতা কথা! ‘ম্যান মেড বন্যা’, ফোনেই সরব মুখ্যমন্ত্রী

M Speaks to Mamata: খারাপ আবহাওয়ায় হেলিপ্যাড জলমগ্ন থাকায় আকাশপথে মুখ্যমন্ত্রীর বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরিকল্পনা বাতিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
mamata banerjee, modi, mamata

মোদী-মমতা

PM calls Mamata: রাজ্যের ৩ জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে কথা হয়েছে মমতা-মোদীর। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন। কেন্দ্রীয় সাহায্যের আশ্বাসও দেন। তখনই এই বন্যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘ম্যান মেড বন্যা’ বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘ডিভিসি জলাধারের পলি পরিষ্কার করে না। সেটা করলে অতিরিক্ত জল ধরে রাখত।‘ এদিকে, খারাপ আবহাওয়ায় হেলিপ্যাড জলমগ্ন থাকায় আকাশপথে মুখ্যমন্ত্রীর বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরিকল্পনা বাতিল। সড়কপথেই আমতার পথে মুখ্যমন্ত্রীর।

Advertisment

খানাকুলের ঘোষপুর এলাকায় বেলা ১২টার পর মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার নামার কথা থাকলেও, সেই সূচিতে বদল। হেলিপ্যাড জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় আকাশপথে আসছেন না তিনি। যদিও খানাকুল পরিদর্শনের সূচি বাতিল করেনি মুখ্যমন্ত্রী।  সড়কপথে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু হাওড়া থেকে খানাকুলে আশার রাস্তায় জলমগ্ন। তাই কোন পথে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়, খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শনে জেলাকর্তারা। অপরদিকে, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, আমতার বেশ কিছু গ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি। ডিভিসির ছাড়া জলে ভেসেছে উদয়নারায়ণপুরের ৮৫টি গ্রাম। জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরীর। দামোদরের জলে বিপর্যস্ত আমতা ১ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন এলাকা। 

আরও পড়ুন- শাসক বা বিরোধী, ‘ম্যান মেড বন্যা’ তত্ত্বেই অনড় মমতা

আরও পড়ুন- জলের তলায় হেলিপ্যাড! সড়কপথেই আমতার পথে মুখ্যমন্ত্রী

 মঙ্গলবার আমতায় গিয়ে জলবন্দি মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। সেখানে ফি বছর বর্ষায় বন্যা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘কেন্দ্র ইচ্ছে করে এটা করে। যার ফলে আমতা উদয়নারায়ণপুরে এই অবস্থা। এই দু’দিনে জল ছাড়ার পরিমাণ কমাচ্ছে না। পলি তোলার দরকার, তাও করে না।’ 

যদিও সেচমন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর পূর্বসূরি শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছেন, ‘এই সরকারের আমলে, গত ১০ বছরে কোনও স্থায়ী পরিকল্পনা হয়নি। সেচ দফতর কোনও কাজ করেনি। স্থায়ী পরিকল্পনা না হওয়ার জন্য যখন অতিরিক্ত বৃষ্টি হয় এবং ডিভিসি জল ছাড়ে দুইয়ে মিলে নিম্ন দামোদর এলাকা প্লাবিত হয়।’ এই টানাপোড়েনে হুগলির খানাকুলের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। জলের তলায় প্রায় ৬৫টি গ্রাম। ত্রাণ না মেলার অভিযোগ গ্রামবাসীদের। যদিও প্রশাসনের দাবি, দুর্গতদের সবরকম সাহায্যই করা হচ্ছে। জলবন্দি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে নৌকায় চলছে যাতায়াত। দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সমস্যাও।

ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Ghatal CM Mamata PM Modi Flood Like Situation Howrah-Hooghly
Advertisment